জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু : প্রধান উপদেষ্টা

প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস নোবেল বিজয়ী ও যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জোসেফ আর বাইডেনের কাছে পাঠানো এক শোকবার্তায় তিনি বলেন, ‘নোবেল বিজয়ী প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে আমি গভীর দুঃখ ও আন্তরিক সমবেদনা সঙ্গে লিখছি, তিনি একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকার এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের অপ্রতিদ্বন্দ্বী ও অক্লান্ত প্রবক্তা।’

ড. ইউনূস বলেন, কার্টার প্রেসিডেন্ট থাকাকালে এবং এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশ-মার্কিন সম্পর্ক বহুমুখী প্রেক্ষাপটে সুদৃঢ় ও প্রসারিত হয়েছে।

তিনি উল্লেখ করেন যে, কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশে বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিতকরণ এবং গণতন্ত্রকে এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের জনগণের প্রতি তার ভালোবাসা ও আবেগের দৃষ্টান্ত রয়েছে।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশিদের জন্য চিকিৎসা ভিসা সহজ করল চীন

২০০৬ সালের শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ইউনূস বলেন, ‘আমরা ১৯৮৬ সালে বাংলাদেশে তার সফরের কথা স্মরণ করছি এবং সেটি আমাদের জনগণের জন্য একটি মহান অনুপ্রেরণার উৎস।’

তিনি বলেন, প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বিশ্ব রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার প্রিয় বন্ধুও ছিলেন।

প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার বিশেষ সম্মান লাভ করেছি। মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার অবিচল অঙ্গীকার আমাকে সবসময় প্রাণিত করেছে।’

প্রধান উপদেষ্টার বলেন, তাদের মধ্যকার আলোচনায় তাঁর গভীর বিনয়, প্রজ্ঞা ও জনগণের ক্ষমতায়নে প্রতি তাঁর অবিচল বিশ্বাস ফুটে উঠত। নিঃসন্দেহে তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে।

আরও পড়ুন:  বাধ্যতামূলক অবসরে এবার ৪ ডিআইজি

তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে আমি যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *