দক্ষিণ কোরিয়ার জিওলা প্রদেশের মুয়ান আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড়োজাহাজ বিধ্বস্তের ঘটনায় ১৮১ জন আরোহীর মধ্যে দুজনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় দমকল বাহিনীর ধারণা, উড়োজাহাজটিতে এ দুজন ছাড়া ১৭৯ জনের কেউ-ই আর বেঁচে নেই। দক্ষিণ কোরিয়ার দমকল বাহিনীর বরাত দিয়ে এ তথ্য জানায় দেশটির বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ।
দুই ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি কীভাবে রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খেয়ে বিধ্বস্ত হয় তার একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। ভিডিওতে দেখা যায়, উড়োজাহাজটি দ্রুতগতিতে রানওয়ে থেকে ছিটকে গিয়ে একটি দেয়ালের সঙ্গে ধাক্কা খায়। সঙ্গেসঙ্গেই উড়োজাহাজটি বিধ্বস্ত হয় আর কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই বিশাল কালো ধোঁয়ার কুণ্ডুলিতে আকাশ ছেয়ে যায়।
আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমের প্রতিবেদনগুলোতে বলা হয়েছে, প্রাথমিকভাবে মনে হয়েছে বিধ্বস্ত হওয়ার কয়েক সেকেন্ড আগে উড়োজাহাজটি এর পেটের ওপর ভর করে (বেলি ল্যান্ডিং) অবতরণের চেষ্টা করেছিল, সম্ভবত এর ল্যান্ডিং গিয়ারগুলো পুরোপুরি খুলেনি।
ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যায়, জোড়া ইঞ্জিনের উড়োজাহাজটি চাকা ছাড়াই রানওয়ে দিয়ে অনেক দূর পর্যন্ত ছেঁচড়ে যায়, তারপর রানওয়ে থেকে বেরিয়ে গিয়ে বিমানবন্দরের দেয়ালে ধাক্কা খায়। পরে বিধ্বস্ত উড়োজাহাজটির বিভিন্ন অংশে আগুন জ্বলতে ও ধোঁয়া বের হতে দেখা যায়।
স্থানীয় দমকল বাহিনীর প্রধান জানিয়েছেন, পাখির ঝাঁকের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে এই দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
এ ঘটনায় আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম বিবিসি লিখেছে, এই দুর্ঘটনার কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। তবে স্থানীয় গণমাধ্যম বলছে, বিমানবন্দরে অবতরণের সময় পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের ফলে ল্যান্ডিং গিয়ারে ত্রুটির কারণে এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।