কাজাখস্তানে প্লেন দুর্ঘটনায় জীবিত উদ্ধার ৩২

কাজাখস্তানের আক্তাউ শহরের কাছে একটি যাত্রীবাহী প্লেন বিধ্বস্ত হয়েছে। আজারবাইজান থেকে রাশিয়ার উদ্দেশ্যে যাত্রাকালে প্লেনটি বিধ্বস্ত হয়।

কাজাখ কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্লেনটিতে মোট ৬২ জন যাত্রী এবং পাঁচজন ক্রু সদস্য ছিলেন। এর মধ্যে ৩২ জনকে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে।

বিধ্বস্ত প্লেনটি এমব্রায়ের ১৯০ মডেলের ছিল এবং এটি আজারবাইজান এয়ারলাইনসের মালিকানাধীন। ভিডিও ফুটেজে দেখা যায়, প্লেনটি সমুদ্রতীরে আছড়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গেই আগুন ধরে যায় এবং ঘন কালো ধোঁয়া উঠতে শুরু করে। ভিডিওতে আহত যাত্রীদের ফিউসলাজের অবশিষ্ট অংশ থেকে বের হয়ে আসতে দেখা যায়।

কাজাখস্তানের জরুরি মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ফায়ার সার্ভিস আগুন নেভাতে সক্ষম হয়েছে এবং আহতদের নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে দুই শিশুও রয়েছে। এছাড়া রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহতদের মরদেহ উদ্ধারের কাজ চলছিল।

আরও পড়ুন:  সিরিয়া ছেড়ে পালিয়েছেন বাশার-আল আসাদ

আজারবাইজান এয়ারলাইনস জানিয়েছে, প্লেনটি বাকু থেকে রাশিয়ার চেচনিয়া অঞ্চলের রাজধানী গ্রোজনি যাচ্ছিল। জরুরি অবতরণের চেষ্টা করার সময় এটি আক্তাউ বিমানবন্দর থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে বিধ্বস্ত হয়।

প্লেনটি কাস্পিয়ান সাগরের পশ্চিম উপকূল ধরে উড়ে যাচ্ছিল। এর ফ্লাইট ট্র্যাকিং হঠাৎ বন্ধ হয়ে যায় এবং পরবর্তীতে পূর্ব উপকূলে এটি আবার দেখা যায়। আক্তাউ বিমানবন্দরের কাছে প্লেনটি বেশ কিছুক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর বিধ্বস্ত হয়।

এই দুর্ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে কাজাখ সরকার একটি তদন্ত কমিশন গঠন করেছে। আজারবাইজানের সঙ্গে যৌথভাবে তদন্তে কাজ করবে কাজাখস্তান। রাশিয়ার আকাশ পরিবহন সংস্থা জানিয়েছে, প্রাথমিক তথ্যানুযায়ী, পাখির সঙ্গে সংঘর্ষের কারণেই প্লেনটি জরুরি অবতরণের চেষ্টা করেছিল।

রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভ এ ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। আলিয়েভ রাশিয়ায় একটি সম্মেলনে যোগ দেওয়ার পরিকল্পনা বাতিল করে দেশে ফিরে গেছেন।

আরও পড়ুন:  খুলনা, যশোর, সাতক্ষীরার ৮ উপজেলায় ১৫ লাখ মানুষ পানিবন্দী

চেচনিয়ার নেতা রমজান কাদিরভ এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা গুরুতর। তিনি তাদের দ্রুত সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করেন। সূত্র: রয়টার্স

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *