২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচনের পক্ষে মত বিএনপির যুগপৎ সঙ্গীদের

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে মত দিয়েছেন বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী ১২ দলীয় জোটের নেতারা। তারা মনে করেন, ২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন আদায় করতে না পারলে সেটা নানা কারণে আরও বিলম্বিত হতে পারে। তাই নির্বাচনের জন্য রাজনৈতিক চাপ তৈরি করতে হবে।

আজ (শনিবার) সন্ধ্যায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে বিএনপির লিয়াজোঁ কমিটির সঙ্গে বৈঠকে এই মতামত দেন ১২ দলীয় জোটের নেতারা। 

বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে জোট নেতাদের নিজেদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি না করে ঐক্যবদ্ধ থাকার আহ্বান জানানো হয়। একইসঙ্গে তাদের জানানো হয়, নির্বাচন নিয়ে তাদের মতামত বিএনপির স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করা হবে। নির্বাচন ইস্যুতে বিএনপির অবস্থান আনুষ্ঠানিকভাবে সংবাদ সম্মেলন করে তুলে ধরা হবে।

বৈঠক শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেন, ১২ দলীয় জোট নেতাদের সঙ্গে আমরা আলোচনা করেছি। সমমনা জোটসহ আরও যারা আছে তাদের সাথে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তারপর আমরা আপনাদের সিদ্ধান্ত জানাব।

আরও পড়ুন:  সিলেটে বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত, বাড়ানো হয়েছে ত্রাণ বরাদ্দ

জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ১২ দলীয় জোট নেতৃবৃন্দ এবং বিএনপি নেতৃবৃন্দের সঙ্গে দীর্ঘ সময় বৈঠক হয়েছে। আগামী দিনে রাজনৈতিক কর্মসূচি কী হবে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। কিন্তু কর্মসূচি চূড়ান্ত হয়নি। বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আলোচনা করে কর্মসূচি চূড়ান্ত করা হবে। আমরা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। আজ আমরা চূড়ান্ত কোনো সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারিনি।

তিনি বলেন, আমরা দীর্ঘদিন যাবৎ ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলন করেছি। ঐক্যবদ্ধই আছি। আমাদের ঐক্যের প্রয়োজনীয়তা এখনও ফুরিয়ে যায়নি। বিএনপির সঙ্গে আরও যারা রাজনৈতিক দল আছে তাদের সঙ্গে আলোচনা করেই কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বৈঠক শেষে ১২ দলীয় জোটের নেতা শাহাদাত হোসেন সেলিম ঢাকা পোস্টকে বলেন, আগামী নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। আমরা আমাদের মতামত বিএনপিকে দিয়ে এসেছি।

আরও পড়ুন:  আজও শাহবাগে অবস্থান নিয়েছেন প্রাথমিকের নিয়োগ বাতিল হওয়া প্রার্থীরা

১২ দলীয় জোটের শরিক একটি দলের শীর্ষ একজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, আমাদের জোটের সবার মতামত ছিল আগামী নির্বাচন ২০২৫ সালের মধ্যে করতে হবে। সেটাকে কোনোভাবে ২০২৬ সালে নেওয়া যাবে না।

তিনি আরও বলেন, বিএনপি মনে করে দেশে একটা অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টির জন্য পরিকল্পিতভাবে কিছু ঘটনা ঘটানো হচ্ছে। সেটা তারা পর্যবেক্ষণ করছে। নির্বাচন, দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিসহ নানা ইস্যুতে কর্মসূচি দেওয়ার প্রাথমিক আলোচনা হয়েছে। সেটা বিএনপি দলের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে।

বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। অংশ নেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু প্রমুখ।

আরও পড়ুন:  ইসরায়েলি হামলায় গাজায় একদিনে নিহত ৭০০

আর ১২ দলীয় জোট নেতাদের মধ্যে ছিলেন— জোট প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার, শাহাদাত হোসেন সেলিম, সৈয়দ এহসানুল হুদা, ড. গোলাম মহিউদ্দিন ইকরাম, অধ্যাপক নুরুল আমিন বেপারী, রাশেদ প্রধান, লায়ন মোহাম্মদ ফারুক রহমান, শামসুদ্দিন পারভেজ, মাওলানা আব্দুল করিম, অ্যাডভোকেট আবুল কাশেম, মো. লিটন মিয়া, ইমরুল কায়েস প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *