রাবিপ্রবি প্রতিনিধিঃ রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবিপ্রবি) আবাসিক ছাত্র হলে অবৈধভাবে অবস্থান করা শিক্ষার্থীদের হলে অবস্থান না করার অনুরোধ জানিয়েছে হল কর্তৃপক্ষ।শান্তি শৃঙ্খলা ও নিরাপত্তা বজায় রাখার স্বার্থে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে বলে হল প্রশাসনের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৯ ডিসেম্বর) ছাত্র হলের হল প্রভোস্ট সাদ্দাম হোসেনের সাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে তথ্যটি নিশ্চিত করেছে রাবিপ্রবি প্রশাসন। এদিকে ছাত্র-জনতার গণঅভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট আওয়ামী-লীগ সরকারের পতনের পরে উপাচার্য, উপ-উপাচার্য, প্রক্টর ও কয়েকজন হল প্রভোস্ট পদত্যাগ করলে প্রশাসন বিহীন হয়ে পরে রাবিপ্রবি।
পরবর্তীতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফরেস্ট্রি বিভাগের চেয়ারম্যান ড. নিখিল চাকমাকে (একাডেমিক, আর্থিক ও প্রশাসনিক) দায়িত্ব দেওয়ার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক কার্যক্রম পুনরায় সচল হয়। সে সময় আবাসিক শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে আবারো হলের প্রশাসনকে পুনরায় পুনর্গঠন করা হয়।
সরকার পতনের পর সারাদেশের মতোই শিক্ষার্থীদের রোষানল এড়াতে রাবিপ্রবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা হল ছেড়ে গা ঢাকা দিয়েছে। পাশাপাশি কিছু শিক্ষার্থীর মাস্টার্স ফাইনাল পরীক্ষা শেষ হয়ে যাওয়ায় অনেকগুলো আসন বর্তমানে ফাঁকা। অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার বিষয়ে ছাত্র হলের হল প্রভোস্ট সাদ্দাম হোসেন বলেন” বর্তমানে হলের বৈধ সিটের সংখ্যা ৯১টি। অথচ এর বাহিরেও অনেক বহিরাগত শিক্ষার্থীরা হলে অবস্থান করছে। আবার কেউ কেউ হলের সিট দখলের পরিকল্পনা করছে। তাই অবৈধ অনুপ্রবেশ ঠেকাতে ও আবাসিক শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তার স্বার্থে আমরা এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এছাড়াও ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ওরিয়েন্টেশন এর পরপরই অর্থাৎ জানুয়ারির ২য় সপ্তাহে হলে আসন বরাদ্দের নোটিশ দিবো। যথাযথ প্রক্রিয়া অনুযায়ী শতভাগ বৈধ উপায়ে হলে সিট বণ্টন করা হবে”।
হলের সিটের জন্য অপেক্ষারত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, “ ২৪ এর আন্দোলন সকল প্রকার বৈষম্য বিলোপের আন্দোলন ছিল। আশা করি রাবিপ্রবি প্রশাসন কোন প্রকার বৈষম্য না করে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে বৈধ উপায়ে সিট বণ্টন করবে”।
এদিকে, অবৈধ শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশনা কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন আবাসিক শিক্ষার্থীবৃন্দ। তাদের চাওয়া আবাসিক হলের পরিবেশ ও আইন-শৃঙ্খলার বিষয়ে প্রশাসন সর্বোচ্চ কঠোর অবস্থান নিবে।