টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানের দখল নিয়ে দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল এলাকায় নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
ইজতেমা মাঠের দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সেখানে যাতে অনাকাঙ্ক্ষিত কোনো পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয়, তাই কাকরাইল মসজিদ ও ঢাকা মেডিকেল এলাকা নিরাপত্তা জোরদার করেছে র্যাব-৩। বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে র্যাব-৩। সেইসঙ্গে টঙ্গীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৪ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) সকালে।
এর আগে, গাজীপুরের টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা মাঠে মুসল্লিদের দুই গ্রুপের সংঘর্ষে ৩ জন নিহত হন। এ ঘটনায় আহত হয়ে কমপক্ষে ৩৫ জন চিকিৎসা নিচ্ছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। মুসল্লিরা জানান, ২০ ডিসেম্বর থেকে জোর ইজতেমার শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। সে উপলক্ষে মুসল্লিরা আসতে থাকেন টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে।
মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে মুসল্লিদের একটি পক্ষ মাঠে প্রবেশকে কেন্দ্র করে বাধে বিপত্তি। শুরু হয় হাতাহাতি। এক পর্যায়ে সংঘর্ষে জড়ান তারা। আহত হন দুপক্ষের বহু মুসল্লি।
আহতদের উদ্ধার করে প্রথমে টঙ্গি আহসানউল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেলে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় বেলাল হোসেন নামে একজনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বেলাল হোসেন (৫৫)।
হাসপাতালেও সকাল থেকে মুসল্লিদের দুই পক্ষের মাঝে থেমে থেমেই হাতাহাতির ঘটনা ঘটতে দেখা যায়। নিরাপত্তার জন্য সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ এবং সেনাবাহিনীর উপস্থিতিও লক্ষ্য করা গেছে।