আজ বুধবার (১৮ ডিসেম্বর) তাবলিগের দুই পক্ষের হতাহতের ঘটনায় সরকার এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
এদিকে সাদপন্থীদের মিডিয়া সমন্বয়ক মুহাম্মদ সায়েম বলেন, ‘বিশ্ব ইজতেমার মাঠ আমাদের নিয়ন্ত্রণে আছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৩টার দিকে টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে সাদপন্থীরা বাহির থেকে হঠাৎ হামলা চালায় বলে দাবি করে জুবায়েরপন্থীরা। এতে শতাধিক আহতের ঘটনা ঘটে। হতাহতদের ঢাকা মেডিক্যালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
নিহতরা হলেন- কিশোরগঞ্জ জেলার পাকুন্দিয়া থানার এগারসিন্দু গ্রামের বাসিন্দা বাচ্চু মিয়া (৭০) ও ঢাকার দক্ষিণখানের বেড়াইদ এলাকার বেলাল (৬০) ও বেলাল হোসেন (৫৫)।
একপর্যায়ে সাদপন্থীরা মাঠে প্রবেশ করলে উভয় পক্ষের মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষ শুরু হয়। এতে রাতে দুজন ঘটনাস্থলে ও বুধবার সকাল ৭টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একজনের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় শতাধিক লোক আহত হয়েছেন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন টঙ্গী পশ্চিম থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসকন্দার হাবিব।
তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমরা দুজন নিহতের তথ্য পেয়েছি। ঘটনাস্থলে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে প্রশাসন।
টঙ্গী আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের সিনিয়র ব্রাদার হাফিজুল ইসলাম জানান, টঙ্গীর ইজতেমা ময়দানে দুপক্ষের সংঘর্ষে হতাহতদের হাসপাতালে আনা হয়। তবে অবস্থা গুরুতর হওয়ায় আহত কয়েকজনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।