সিরিয়ার ২৬ টন স্বর্ণের মজুত অক্ষত!

বিদ্রোহীদের তীব্র আক্রমণের মুখে সিরিয়ার স্বৈরশাসক বাশার আল-আসাদ গত ৮ ডিসেম্বর ক্ষমতা ছেড়ে পালিয়ে রাশিয়া চলে যান। তারপরও দেশটির কেন্দ্রীয় ব্যাংকে প্রায় ২৬ টন স্বর্ণর মজুত অক্ষত রয়েছে। ২০১১ সালে সিরিয়ায় রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধ শুরুর সময়ও ঠিক একই পরিমাণ স্বর্ণ ছিল। 

এ বিষয়ে অবগত চারটি সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে এ তথ্য জানিয়েছেন। একই সঙ্গে তাঁরা জানিয়েছেন, দেশটির বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ খুবই কম।

সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্যের বরাতে ওয়ার্ল্ড গোল্ড কাউন্সিল বলেছে, ২০১১ সালের জুনে দেশটিতে স্বর্ণের মজুত ছিল ২৫ দশমিক ৮ টন। রয়টার্সের হিসাবমতে, অর্থের অঙ্কে এটি ২ দশমিক ২ বিলিয়ন ডলারের সমান।

সূত্রগুলোর একটি রয়টার্সকে বলেছে, নগদ অর্থে বর্তমানে সিরিয়ার বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ২০০ মিলিয়ন (২০ কোটি) ডলারের মতো। অন্যদিকে আরেকটি সূত্র বলেছে, রিজার্ভের পরিমাণ ‘কয়েক শ মিলিয়ন ডলার’।

আরও পড়ুন:  দ্রুত সিদ্ধান্ত না আসলে সারা দেশ থেকে ঢাকা মার্চ : নাহিদ

সিরিয়ার কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তথ্য উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বলেছে, দেশটিতে গৃহযুদ্ধ শুরুর বছর ২০১১ সালের শেষ নাগাদ সার্বিকভাবে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল ১৪ বিলিয়ন ডলার। এর আগের বছর ২০১০ সালে আইএমএফের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, সে দেশে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ছিল আনুমানিক ১৮ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার।

সিরিয়ার বর্তমান ও সাবেক কয়েকজন কর্মকর্তা বলেছেন, দেশটির ডলারের রিজার্ভ প্রায় শূন্য হয়ে আসার পেছনে কারণ হলো আসাদ সরকার খাদ্য, জ্বালানি ও যুদ্ধ তৎপরতায় এখান থেকে বেহিসাবি খরচ করেছে।

কেন্দ্রীয় ব্যাংকের রিজার্ভ সম্পর্কে সিরিয়ায় বিদ্রোহী যোদ্ধাদের নেতৃত্বাধীন নতুন ক্ষমতাসীন প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। তবে এ বিষয়ে তারা কোনো মন্তব্য করেনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *