আজ ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। বাঙালি জাতির হাজার বছরের শৌর্যবীর্য ও বীরত্বের এক অবিস্মরণীয় গৌরবময় দিন। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধ শেষে বাঙালি জাতি অর্জন করে তার শ্রেষ্ঠতম অর্জন ‘বিজয়’। এদিন বাঙালির আত্মপরিচয় লাভের দিন।
মহান বিজয় দিবসকে স্মরণ করে অন্যান্যবারের মত এবারও আড়ম্বরপূর্ণ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় বিজয় দিবস পালন করেছে রাজধানী মিরপুরের ইংরেজী মাধ্যমের অন্যতম সেরা শিক্ষাঙ্গন ‘চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ’।
এ সময় চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ এর অধ্যক্ষ বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ড.সালেহা কাদের বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে দেশের উন্নয়ন ও গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা রক্ষা এবং সুশাসন প্রতিষ্ঠার জন্য এ বিজয় দিবসে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থান থেকে দায়িত্ব পালন করতে হবে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, এই বিজয়ের অর্জন ধরে রেখে আমাদেরকে দেশ ও জাতির কল্যাণে নিবেদিত হয়ে কাজ করতে হবে। আগামি দিনে তোমরাই এদেশকে নেতৃত্ব দিবে তাই সকলে নিজ নিজ অঙ্গনে দায়িত্ব পালন করলে এদেশ এগিয়ে যাবে। আর তখনি স্বাধীনতা অর্থবহ হয়ে উঠবে এবং শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হবে।
তিনি শহীদদের স্মরণ করে আরো বলেন, মহান বিজয় দিবসে শ্রদ্ধা জানাই ত্রিশ লাখ শহীদের প্রতি। যাদের রক্তের বিনিময়ে এদেশ ও লাল সবুজ পতাকা আমরা পেয়েছি। ১৯৭১ সালের এই দিনে দীর্ঘ নয় মাসের জঠর-যন্ত্রণা শেষে জন্ম নেয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। ৯৩ হাজার পাকিস্তানি বাহিনী ঐতিহাসিক রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণের মাধ্যমে সূচিত হয়েছিল সেই কাঙ্ক্ষিত বিজয়।
উল্লেখ্য, চেরী ব্লোসমস ইন্টারন্যাশনাল স্কুল এন্ড কলেজ প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিশুদেরকে পাঠদানের পাশাপাশি বাংলাদেশের ইতিহাস ও সংস্কৃতির সাথে নিবিড় সম্পর্ক গড়তে সহায়তা করে।এটি ছিল রাজধানীর মিরপুরের প্রথম প্রতিষ্ঠিত ইংরেজি মাধ্যমের স্কুল।