তাপমাত্রা নিয়ে দুঃসংবাদ দিলো আবহাওয়া অফিস

পঞ্চগড়, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাওয়া শৈত্যপ্রবাহ থামার নাম নেই, বরং তা আরও বিস্তার লাভের আশঙ্কা রয়েছে। আবহাওয়াবিদদের সতর্কবার্তা—জানুয়ারিতে দেশের তাপমাত্রা তিন ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত নেমে যেতে পারে। এরই মধ্যে ঘন কুয়াশার প্রবণতা আর শীতের তীব্রতা বাড়তে থাকায় সাধারণ মানুষের প্রস্তুতির জন্য প্রশ্ন রয়ে যাচ্ছে—এবারের শীত কি আরও ভয়াবহ হতে চলেছে?

শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ৭২ ঘণ্টার জন্য দেওয়া আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়, দক্ষিণ-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরের শ্রীলঙ্কা উপকূলে অবস্থানরত সুস্পষ্ট লঘুচাপটি দুর্বল হয়ে লঘুচাপে এবং গুরুত্বহীন হয়ে পড়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়টি পশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আরও পড়ুন:  নতুন গ্যাসের সংযোগ দেওয়া সম্ভব নয়: জ্বালানি উপদেষ্টা

এমন অবস্থায় অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। এছাড়া পঞ্চগড়, রাজশাহী ও চুয়াডাঙ্গা জেলাসমূহের উপর দিয়ে যে মৃদু শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে, সেটি তা অব্যাহত থাকতে পারে।

পাশাপাশি সারা দেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য হ্রাস পেতে পারে। এতে এ সময়ের মধ্যে শীতের অনুভূতি আরও বাড়তে পারে। তাছাড়া মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে।আগামীকাল রোববার ঢাকায় সূর্যোদয় ভোর ৬টা ৩৩ মিনিটে এবং সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫টা ১৩ মিনিটে।শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়ায় ৮.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে টেকনাফে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

এদিকে, দেশে চলমান শৈত্যপ্রবাহ ১৯ ডিসেম্বরের পরে আরও বিস্তার লাভ করতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ ড. মো. বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, এ সময়ের মধ্যে ঢাকায় শৈত্যপ্রবাহ হানা না দিলেও তাপমাত্রা ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াস অথবা এর কাছাকাছি আসতে পারে।তিনি আরও বলেন, গত বছরের মতো এবারও ঘন কুয়াশার প্রবণতা থাকতে পারে। পাশাপাশি শীতের পরিমাণ বেশি থাকতে পারে। জানুয়ারিতে তিন-চার ডিগ্রিতে তাপমাত্রা কমে আসতে পারে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *