যে অবস্থায় রক্তে শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি কিন্তু ডায়াবেটিসের পর্যায়ে পৌঁছায়নি— তাই প্রি-ডায়াবেটিস। এ অবস্থায় রক্তের শর্করার মাত্রা সাধারণত ১০০ থেকে ১২৫ মিলিগ্রামের মধ্যে থাকে। এ অবস্থায় বোঝা যায় না যে ডায়াবেটিস হয়েছে কি না বা হবে কি না।
উচ্চ রক্তশর্করা কিডনিকে অতিরিক্ত শর্করা ফিল্টার করার জন্য বেশি কাজ করতে বাধ্য করে। যার ফলে প্রস্রাবের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় এবং ডিহাইড্রেশনের সৃষ্টি হয়।
কিডনির অতিরিক্ত কাজের কারণে ঘন ঘন প্রস্রাব হয়। এর ফলে শরীরে পানিশূন্যতা দেখা দেয় এবং আপনাকে বেশি প্রস্রাব করতে বাধ্য করে।
৩. অতিরিক্ত ক্লান্তি
যদি আপনি তেমন শারীরিক পরিশ্রম না করেও অস্বাভাবিকভাবে ক্লান্ত অনুভব করেন, তবে এটি প্রি-ডায়াবেটিসের লক্ষণ হতে পারে। যখন শরীর শর্করাকে শক্তিতে রূপান্তর করতে সংগ্রাম করে, তখনই ক্লান্তি দেখা দেয়।
গলা ও বগলে গাঢ় চামড়ার দাগ, যা অ্যাকান্থোসিস নাইগ্রিক্যানস নামে পরিচিত। ইনসুলিন প্রতিরোধ নির্দেশ করতে পারে এবং এটি প্রি-ডায়াবেটিস ও ডায়াবেটিস উভয়ের ক্ষেত্রে সাধারণ।
৫. ক্ষত বা ঘা ধীরে ধীরে শুকানো
ক্ষত বা ঘা ধীরে শুকানো ডায়াবেটিস ও প্রি-ডায়াবেটিসের একটি সাধারণ লক্ষণ। রক্তে শর্করা বেশি থাকলে রক্ত ঘন হয়ে যায় এবং প্রদাহ সৃষ্টি করে। যা ক্ষত নিরাময় প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করে।
এই লক্ষণগুলো সম্পর্কে সতর্ক হয়ে জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনুন এবং প্রি-ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে আপনার স্বাস্থ্য সুরক্ষিত করুন।
সূত্র : দ্য স্টেটসম্যান