নিউ ইয়র্কের বাড়িগুলো যেন এক টুকরো কৃষিক্ষেত

বাংলাদেশ কৃষি প্রধান দেশ। এদেশের মানুষ কৃষিকে বুকে ধারণ করে পথ চলে। মানুষের জীবন জীবিকা ঘিরে কৃষির একটা প্রভাব রয়েছে মানুষের মনোজগতে। তাইতো সবুজ শ্যামল বাংলাদেশের প্রতিচ্ছবি দেখা গেল যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্কের ব্রুকলিনে। ব্রুকলিন বাঙালি অধ্যুষিত একটি এলাকা। বাংলাদেশের দ্বীপ উপজেলা সন্দ্বীপের মানুষের বসতি এখানে বেশি। সন্দীপ অধ্যুষিত এলাকা হলেও এখানকার মানুষ তাদের প্রাত্যহিক জীবনে বাঙালিয়ানা জীবনের প্রভাব স্পষ্ট।
এখানকার বাড়ির আঙিনায় তারা কৃষক মনের পরিচয় দিয়েছেন। বাড়ি রাঙ্গিনাকে সাজিয়ে তুলেছেন গ্রামের বাড়ির আদলে। এখানে তারা শাকসবজি উৎপাদন করছেন। টবে সাজানো গাছের চারা গুলো ডাল বেয়ে উঠে গেছে বহুদূর। বাঙালি নারীদের মমতাময়ী হাতে তারা বিকেলের অবসরে গাছ রোপন করেন এবং বাগানের পরিচর্যা করেন।
এখানকার বাগান গুলোতে কিছু গাছের চারা পাওয়া যায়। তাদের মধ্যে রয়েছে, কাঁচামরিচ, লাউ, সিম, টমেটো, মিষ্টি কুমড়া, কচু শাক, দেরস, পেঁপে সহ সখের কিছু গাছ। রয়েছে বাহারি ফল ফুলের গাছ।
প্রতিটি বাড়িতে এমন সবুজ আঙিনা দেখে চোখ জুড়ে যাবে সবার।
বাগানের পরিচর্যা রত একজনের সঙ্গে কথা বলে জানা গেলো তারা শখের বসে আঙিনায় এসব বাগান করে থাকেন।
এম আলম বিপ্লব বলেন, আমেরিকায় বেশিরভাগ খাবার ফ্রোজেন। হিজাব জিনিস খেতে খেতে শরীর স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায় যদিও এখানে খাবার সব ফ্রেশ। আমরা দেশে বিশেষ করে সন্দীপে বাড়ি রাঙি নাই শাকসবজি উৎপাদন করে থাকি। একটা সময় আমাদের পুকুর ভরা মাছ গোয়ালপাড়া গরু এবং আঙিনা ভরা শাক সবজির ফলন ছিল। জানিনা এই চর্চা অব্যাহত আছে কিনা? আমরা যদি আমাদের আঙ্গিনায় সবুজ শাকসবজি রোপন করি তাহলে পরিবার এবং নিজেদের শখ পূরণ হতে পারে। একই সঙ্গে বাড়তি থাকলে আমরা প্রতিবেশীদেরও দিতে পারি। মূলত নাগরিক জীবনের ব্যস্ততার মধ্যেও সবুজে শ্যামলে সঙ্গে থাকার জন্য আমাদের এই প্রচেষ্টা। তাছাড়া
বাগানের তাজা সবজি পেতে কার না ভালো লাগে।
বাগান করলে হৃদয় প্রশান্তি আসে। নিজেকে বাঙালি আনাই মনে হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *