গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ৫৩ নিহত, লেবাননে আরও ২১

ইসরায়েলের বর্বর হামলায় ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় আরও অর্ধশতাধিক ফিলিস্তিনি প্রাণ হারিয়েছেন, ফলে ওই অঞ্চলে নিহতের সংখ্যা ৪২ হাজার ৯২০ ছাড়িয়েছে। এছাড়া লেবাননেও ইসরায়েলের হামলা থেমে নেই। দেশটির ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর আক্রমণে আরও ২১ জন লেবানিজ নিহত হয়েছেন। সোমবার (২৮ অক্টোবর) এই তথ্য জানিয়েছে আল জাজিরা

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় কমপক্ষে আরও ৫৩ জন এবং লেবাননে ২১ জনকে হত্যা করেছে। রবিবার গাজাজুড়ে হওয়া হামলায় এই ৫৩ জন নিহত হন, যার মধ্যে অন্তত ৪৬ জনের মৃত্যু ঘটেছে উপত্যকার উত্তরাঞ্চলে।

এছাড়া, গাজার আবাসিক এলাকায় বোমা হামলা এবং গণগ্রেপ্তারের মাধ্যমে ইসরায়েল চলমান হামলা ও অবরোধকে আরও তীব্র করেছে।

ফিলিস্তিনি চিকিৎসক হুসেইন আল-হালাবি জানিয়েছেন, “ইসরায়েলি যুদ্ধবিমান আসমা স্কুলকে লক্ষ্যবস্তু করে হামলা চালিয়েছে। আহত অনেককে আল-আহলি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং আরও কিছু আহত ব্যক্তি আটকা পড়ে রয়েছেন। এই স্কুলটি জাবালিয়া এবং গাজা শহরের পশ্চিম এলাকার বাস্তুচ্যুত লোকদের জন্য আশ্রয়স্থল ছিল।”

আরও পড়ুন:  গাজায় চরম মানবিক বিপর্যয়, ৪৮ ঘণ্টায় গেল প্রাণ ৯৭০

গত চার সপ্তাহ ধরে উত্তর গাজায় ব্যাপক অভিযান চালাচ্ছে ইসরায়েল। কিছু মেডিকেল সূত্র আল জাজিরাকে জানিয়েছে, এই সময়ের মধ্যে অন্তত এক হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন।

এদিকে, রোববার লেবাননজুড়ে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২১ জন প্রাণ হারিয়েছেন। মূলত ২৩ সেপ্টেম্বর থেকে রাজধানী বৈরুতসহ লেবাননের বিভিন্ন এলাকায় ব্যাপক বিমান হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েল। ইসরায়েলি সামরিক বাহিনীর দাবি, এই হামলা সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর অপারেটিভস, অবকাঠামো এবং অস্ত্রাগারকে লক্ষ্য করে পরিচালিত হচ্ছে।

হিজবুল্লাহও পাল্টা আঘাত হানছে। গত সপ্তাহে লেবাননে অভিযানরত ইসরায়েলি বাহিনীর ৭০ জন সেনাকে হত্যার দাবি করেছে শক্তিশালী এই সশস্ত্র গোষ্ঠীটি। অবশ্য ঠিক কত দিনে এই সেনারা নিহত হয়েছেন, তা এই বিবৃতিতে উল্লেখ করেনি গোষ্ঠীটি।

আরও পড়ুন:  সামরিক শক্তিতে কে এগিয়ে, ইরান না পাকিস্তান

এর আগের সপ্তাহে এক বিবৃতিতে হিজবুল্লাহর পক্ষ থেকে ৫৫ জন ইসরায়েলি সেনাকে হত্যার দাবি করা হয়েছিল। এছাড়া গত বছরের অক্টোবরে হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে লেবাননে মৃতের সংখ্যা ইতোমধ্যেই আড়াই হাজার ছাড়িয়ে গেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *