লক্ষ্মীপুরে গ্রীণলাইফ ফিলিং স্টেশনে গ্যাস নেওয়ার সময় বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিনজন নিহত হয়েছেন এবং অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। রোববার (১৩ অক্টোবর) দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে ঢাকা-লক্ষ্মীপুর আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে মুন্সিগঞ্জ পৌরসভা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। আহতদের চিকিৎসা চলছে।
নিহতরা হলেন: লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার ভবানীগঞ্জ ইউনিয়নের চরমনসার বটু মিয়ার ছেলে সুমন হোসেন, বাঞ্চানগর এলাকার সুজা মিয়ার ছেলে মো. ইউসুফ মিয়া এবং হৃদয় হোসেন। এঁরা তিনজনই সিএনজির চালক ছিলেন। ফিলিং স্টেশনের ম্যানেজার আল আমিন জানান, আহতদের মধ্যে বাস ও সিএনজির চালকও রয়েছে। এই ভয়াবহ দুর্ঘটনার ফলে এলাকায় ব্যাপক আতঙ্ক সৃষ্টি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাত পৌনে দুইটার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগতিগামী মেঘনা পরিবহন নামে একটি বাস গ্যাস নিতে আসে গ্রীন লাইফ ফিলিং স্টেশনে। এ সময় বাসে গ্যাস দেয়ার সময় হঠাৎ বাসের সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়। এতে চারদিকে ধোঁয়াচ্ছন্ন হয়ে গেলে স্টেশনে থাকা সিএনজি চালকরা ছুটাছুটি শুরু করেন। এ সময় ঘটনাস্থলে মারা যায় সিএনজির তিন চালক।
পরে ফায়ার সার্ভিসের দুইটি ইউনিট ও পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে নিহত তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠায়। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে অবস্থার অবনতি হওয়ায় গুরুতর আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। অন্যদের সদর হাসপাতালে ভর্তি করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
লক্ষ্মীপুর ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রঞ্জিত কুমার বলেন, আমরা এসে তিনজনের মরদেহ উদ্ধার করেছি। এছাড়া এসে কয়েকজনকে আহত অবস্থায় দেখেছি। বাসের গ্যাস সিলিন্ডারটি নিম্নমানের ছিল। সেজন্যই এমন দুর্ঘটনা ঘটেছে।
লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালের চিকিৎসক জয়নাল আবেদিন বলেন, হাসপাতালে তিনটি মরদেহ এসেছে। এছাড়া আহত অবস্থায় অনেককেই আনা হয়েছে। তাদের মধ্যে অন্তত ১০ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। অনেকের হাত-পা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে বলেও জানান তিনি।