সরকার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালকে জুলাই-অগাস্টে সংঘটিত গণহত্যার বিচারের জন্য নির্বাচন করেছে। আইন উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এই সপ্তাহেই বিচারক নিয়োগ করা হবে এবং এক মাসের মধ্যে বিচার কার্যক্রম শুরু হবে। আজ রবিবার বন্ধের দিনও তদন্ত সংস্থার কাজ চলে পুরোদমে।
এখন পর্যন্ত শেখ হাসিনা ও ১৪ দলের শীর্ষ নেতাদের বিরুদ্ধে ৬০টির বেশি অভিযোগ জমা পড়েছে, যার মধ্যে গুম, হত্যা ও গণহত্যার অভিযোগ অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বিচার প্রক্রিয়া নিয়ে দৃঢ় প্রতিজ্ঞা ব্যক্ত করেছেন এবং আশা প্রকাশ করেছেন যে দ্রুত বিচার কার্যক্রম শুরু হবে।
চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, বিচারক নিয়োগ হলে প্রাথমিক কাজ শুরু হবে এবং এ সপ্তাহেই শেখ হাসিনাসহ পলাতক অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা চাওয়া হবে। তিনি উল্লেখ করেন, বিচারক নিয়োগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ট্রাইব্যুনাল কার্যক্রম শুরু হবে এবং প্রয়োজনীয় অর্ডার চাওয়া হবে, যাতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা, আসামিদের বিদেশ যাওয়া বন্ধ করা এবং তথ্য উপাত্ত সিজ করার নির্দেশনা অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
তাজুল ইসলাম আরও বলেন, আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সাহায্যে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য আদেশ আসবে। এই প্রক্রিয়া ট্রাইব্যুনালের হাতে নয়, বরং রাষ্ট্রের দায়িত্ব নিতে হবে। তিনি জানান, শেখ হাসিনা ও জুলাই-অগাস্টের গণহত্যায় জড়িতদের ফেরাতে ইন্টারপোলের সহায়তা নেওয়া হবে।
তিনি উল্লেখ করেন, যারা এই গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের নির্দেশ দিয়েছেন, তাদের অগ্রাধিকার তালিকায় রাখা হয়েছে। ইন্টারপোলের সঙ্গে সংযুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশের পক্ষে অপরাধীদের গ্রেপ্তারে রেড নোটিশ পাঠানো সম্ভব হবে, যা অভিযুক্তদের দেশে ফিরিয়ে আনার সম্ভাবনা সৃষ্টি করবে।
এই পদক্ষেপগুলো রাজনৈতিক ও বিচারিক প্রক্রিয়ায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।