কানাডার বেগমপাড়ায় থাকা ৫ পরিবারের গল্প

বেগমপাড়া” ওয়েব ফিল্মটি কানাডার প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি বিশেষ শ্রেণির জীবনযাপনকে তুলে ধরেছে। এই চলচ্চিত্রে এমন পাঁচটি পরিবারের গল্প আছে, যাদের আচার-আচরণ এবং বিলাসী জীবনযাপন দেখে বোঝার উপায় নেই তাঁরা কোন মহাদেশের।

অভিনেতা ও নির্মাতা কামাল হোসেন দীর্ঘদিন কানাডায় থাকাকালীন এসব মানুষের জীবন ও তাদের আচার-আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হন। বেগমপাড়ার এই পরিবারগুলো দামি বাড়ি ও গাড়িতে জীবন যাপন করে এবং তাদের মাঝে একটি সামাজিক বিভেদও তৈরি হয়েছে, যা বেশ কৌতূহলী। কামাল হোসেনের এই উদ্যোগের মাধ্যমে দর্শকরা সেই সমাজের অজানা কিছু দিক জানতে পারবেন।

নির্মাতা কামাল হোসেন বলেন, ‘এই বেগমপাড়ায় যাঁরা থাকেন, তাঁদের শতকোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। দামি গাড়ি, বাড়ি, পার্টিতে এরা মাতোয়ারা। যাঁদের কোনোভাবেই বাঙালি বলে মনে হয় না। এতটাই ব্যয়বহুল জীবন যাপন করেন। অথচ এই মানুষেরা কেউ বাংলাদেশে রাজনীতি করেন, কেউ হুন্ডি ব্যবসা করেন, কেউ অসৎ উপায়ে দেশ থেকে টাকা পাচারের সঙ্গে জড়িত। এমন অনেকে আছেন, যাঁরা দেশের ক্ষতি করে টাকা পাঠিয়েছেন। এটা আমরা সবাই জানি। তাঁদের গল্পটিই ওয়েবে উঠে এসেছে।’

আরও পড়ুন:  ১০ ট্রাক অস্ত্র মামলায় খালাস পেলেন লুৎফুজ্জামান বাবর

এই ওয়েবে বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ীসহ পাঁচ শ্রেণির মানুষের পরিবারের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। যাঁরা দেশে থেকে বিপুল টাকা অবৈধ পথে আয় করেছেন। সেই টাকায় স্ত্রী-সন্তানেরা যা ইচ্ছা, তা–ই করছেন কানাডায়—এমনটাই বললেন কামাল হোসেন।

এই নির্মাতা বলেন, ‘এমনও পরিবার দেখেছি, যারা বেগমপাড়ায় ঘণ্টায় ঘণ্টায় পার্টির আয়োজন করে। কেউ স্ট্যাটাস মেনটেইন করার জন্য কোটি টাকা খরচ করছেন। এগুলো আমাদের চোখে অসামঞ্জস্যভাবে ধরা দেয়। কিন্তু দিনে শেষে অবৈধ পথে আয় করা অর্থে, লুটের সম্পদে জীবনযাপনের পরিণতি কী হয়, সেটাও আমাদের দেখা আছে। সেই গল্পই আমি ফিকশন আকারে দেখাচ্ছি।’

জানা যায়, এ বছর শুরুর দিকে শুটিং শুরু হয়। বাংলাদেশ ও কানাডার প্রবাসী অভিনয়শিল্পীরা এখানে অভিনয় করেছেন। কলাকুশলী টিমও ছিল বাংলাদেশের। এখানে অভিনয় করেছেন আফরান আহমেদ, আসিফ নাসারি, উনাইশা নায়ির, ইশরাত জাহান, নায়মা ফেরদৌসী, ইফফাত শারমিন প্রমুখ। এটি শিগগির দেশের একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মে প্রচারিত হওয়ার কথা রয়েছে।

আরও পড়ুন:  বাসায় ফিরলেন গানের পাখি সাবিনা ইয়াসমিন

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *