কামাল হোসেনের হত্যার ঘটনায় বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে ভারতকে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানোর ঘটনা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। সীমান্তে এই ধরনের সহিংসতা সম্পর্কিত ঘটনাগুলো উভয় দেশের মধ্যে সম্পর্কের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে।
ভারতীয় হাইকমিশনে পাঠানো কূটনৈতিক নোটের মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার কর্তৃপক্ষের প্রতি যে আহ্বান জানিয়েছে, তা সীমান্ত হত্যার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার গুরুত্বকেও তুলে ধরে। আশা করা যায়, উভয় দেশ এই সমস্যার সমাধানে সহযোগিতা করবে।
বাংলাদেশের কূটনৈতিক নোটে বলা হয়, সীমান্ত হত্যাকাণ্ডকে ‘শূন্য পর্যায়ে’ নামিয়ে আনার জন্য ভারতের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বারবার প্রতিশ্রুতি সত্ত্বেও বিএসএফ এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি করছে। বাংলাদেশ সরকার জোর দিয়ে বলেছে যে, সীমান্ত হত্যার এই ধরনের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অযাচিত। এই ধরনের কর্মকাণ্ড সীমান্ত কর্তৃপক্ষের জন্য ভারত-বাংলাদেশ যৌথ নির্দেশিকা ১৯৭৫-এর বিধান লঙ্ঘন করে। বাংলাদেশ সরকার ভারত সরকারকে এই ধরনের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ এবং সমস্ত সীমান্ত হত্যাকাণ্ড তদন্তের পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।
এ ছাড়া সীমান্ত হত্যার মতো জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুনরাবৃত্তি বন্ধ করতে এবং সব সীমান্ত হত্যাকাণ্ডের তদন্ত পরিচালনা করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের চিহ্নিত করে তাদের বিচারের আওতায় আনতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। উল্লেখ্য, গত সোমবার সন্ধ্যায় কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার গলিয়ারা ইউনিয়নের পাহাড়পুরের কাছে সীমান্তে কামাল হোসেন (৩২) নামে এক যুবককে গুলি করে হত্যা করে বিএসএফ। এই ঘটনার পর বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ও বিএসএফের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরে বিএসএফ ওই যুবকের মরদেহ অ্যাম্বুলেন্সে করে নিয়ে যায়।
…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ