নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমাতে কিছুটা সময় লাগবে বলে অর্থ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদের মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। তিনি মূল্যস্ফীতির বর্তমান অবস্থার পাশাপাশি এর পূর্বের তুলনা করে বলছেন যে, এটি ধীরে ধীরে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে।
সেপ্টেম্বর মাসে মূল্যস্ফীতি ৯.৯২ শতাংশে নেমে এসেছে, যা আগস্টের ১০.৪৯ শতাংশের তুলনায় কিছুটা উন্নতি। অর্থনীতির এই পরিস্থিতিতে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম কমানোর লক্ষ্যে সরকারের কার্যক্রম ও পরিকল্পনা যথাযথভাবে কার্যকর হলে পরিস্থিতির আরও উন্নতি হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘এখন কমানোর (নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম) ব্যাপারে একটু সময় লাগবে। আমরা কিছু ডিসিশন (সিদ্ধান্ত) দিয়েছি। তেলের ওপর ডিউটি (শুল্ক) কমিয়েছি। আজ চিনির ওপর ডিউটি কমিয়ে দেওয়া হলো।’
সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের অভাব হবে না। আজ মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেওয়া হলো। এলএনজি আমদানি, কৃষির সার কেনার অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। আপনারা স্বস্তি পাবেন।’
কত দিনের মধ্যে এ স্বস্তি পাওয়া যাবে- জানতে চাইলে অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘স্বস্তি পাবেন। আপনারা অধৈর্য হবেন না। এ জিনিসটা কিন্তু অনেক কমপ্লেক্স (জটিল)। মনে করবেন না মূল্যস্ফীতি বেড়ে গেছে হঠাৎ করে। এটার পেছনে অনেক ফ্যাক্টর (নিয়ামক) আছে। এখানে বাজারের ফ্যাক্টর আছে। বাজারে মনিটরিংয়ের ফ্যাক্টর আছে। পণ্য উৎপাদন, পণ্য বিপণন। উৎপাদন করলেও সেটা বিপণনের ক্ষেত্রে অনেক ব্যাপার আছে।’
আপনারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছেন না কেন? সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে সালেহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘চাঁদাবাজি কমেনি, তা নয়। চাঁদাবাজি কমেছে। কিন্তু বিভিন্ন হাতবদল (চাঁদাবাজির) হওয়াটা এই মুহূর্তে কমেছে, তা নয়।’
…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ