ভুক্তভোগীদের বর্ণনার সঙ্গে আয়নাঘরের হুবহু মিল পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন গুম-সংক্রান্ত কমিশনের সভাপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী। আজ বৃহস্পতিবার সকালে গুম-সংক্রান্ত কমিশনের কার্যক্রম নিয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা জানান।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি মইনুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ‘এরই মধ্যে বিভিন্ন আয়নাঘরে নানা পরিবর্তনের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ মুছে ফেলা হয়েছে। অনেক দেয়ালে রঙ করা হয়েছে। সেই সঙ্গে কক্ষ ভেঙে ফেলারও প্রমাণ মিলেছে। তবে কোনো ভুক্তভোগীকে পাওয়া যায়নি।’ কমিশনের সদস্যরা জানান, তারা লিখিতভাবে আয়নাঘরে সব ধরনের পরিবর্তন স্থগিত করার জন্য বলেছেন। অভিযুক্তদের তলব করে বিষয়টি ব্যাপকভাবে খতিয়ে দেখা হবে। গুমে অভিযুক্ত যেসব ব্যক্তি পালিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
কমিশন অব ইনকোয়ারির সদস্য সাজ্জাদ হোসেন জানান, গুম-সংক্রান্ত যে বর্ণনাগুলো তারা পেয়েছেন, সেই অনুযায়ী এখন সেলগুলো অনেকাংশে নেই। বেশ কিছু জিনিস পরিবর্তন করা হয়েছে, কিছু ভেঙে ফেলা হয়েছে। সংস্থাটি জানায়, মাত্র ১৩ কার্যদিবসে ৪০০টি গুমের অভিযোগ জমা পড়েছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারির কাছে। এগুলোর বেশিরভাগই র্যাবের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ডিবি, সিটিটিসি, ডিজিএফআই এসব আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বিরুদ্ধেও গুমের অভিযোগ রয়েছে। প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ৬ আগস্ট থেকে ২০২৪ সালের ৫ আগস্টের মধ্যে হওয়া গুমের ঘটনাগুলো খতিয়ে দেখবে গুম-সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি। এরপর আগামী ১০ অক্টোবরের মধ্যে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে প্রতিবেদন জমা দেবে।
…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ