আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে শুক্রবারও চলবে মেট্রোরেল। আজ বুধবার (১৮ সেপ্টেম্বর) মেট্রোরেল পরিচালনাকারী প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) কোম্পানি সচিব খোন্দকার এহতেশামুল কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে বিষয়টি জানানো হয়।
এর আগে চালু হওয়ার পর থেকে এতদিন সপ্তাহে ৬ দিন চলাচল করত মেট্রোরেল। তবে এখন শুক্রবার ছুটির দিনেও মেট্রোর সেবা পাবেন রাজধানীবাসী।
অফিস আদেশে বলা হয়, ডিএমটিসিএল এর আওতায় পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণাধীন এমআরটি লাইন-৬ এর মেট্রো ট্রেন আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবার উত্তরা উত্তর থেকে মতিঝিল পর্যন্ত বিকেল ৩টা ৩০ মিনিট থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত এবং মতিঝিল থেকে উত্তরা উত্তর পর্যন্ত বিকেল ৩টা ৫০ মিনিট থেকে রাত ৯টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত নির্ধারিত হেডওয়েতে চলাচলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
এই প্রেক্ষাপটে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর থেকে প্রতি শুক্রবার উপরোল্লিখিত সময় অনুযায়ী মেট্রোরেল চলাচলের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে সংশ্লিষ্টদের অনুরোধ করা হয় এতে।
এদিকে ডিএমটিসিএলের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিকের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ গত সপ্তাহে বাতিল করে সরকার। নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালকের দায়িত্ব পেয়েছেন মোহাম্মদ আবদুর রউফ। দায়িত্ব নিয়েই তিনি দ্রুত কাজীপাড়া স্টেশন চালু এবং শুক্রবারে মেট্রোরেল চলাচল শুরু করার ওপর জোর দেন।
উল্লেখ্য, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে কোটা সংস্কার আন্দোলনকে ঘিরে সরকারের বল প্রয়োগের ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। এর জেরে বিক্ষুব্ধ জনতা ঢাকার মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বরের পুলিশ বক্সে গত ১৮ জুলাই অগ্নিসংযোগ করে। ওইদিন বিকেল ৫টায় মেট্রোরেলের চলাচল বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এর পরদিন মিরপুর-১০ ও কাজীপাড়া স্টেশনে ভাঙচুর করা হয়।
২০ জুলাই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিএমটিসিএলের তখনকার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন ছিদ্দিক। তিনি মিরপুর ১০ স্টেশন ঘুরে দেখে গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ক্ষতিগ্রস্ত স্টেশন দুটি মেরামত করে পুনরায় চালু করতে এক বছরের মতো সময় লাগতে পারে।
তখন ডিএমটিসিএলের পক্ষ থেকে বলা হয়, কাজীপাড়া ও মিরপুর-১০ স্টেশন চালু করতে সাড়ে ৩০০ কোটি টাকার মতো খরচ করতে হবে। অবশ্য এখন সংস্থাটির দায়িত্বশীল সূত্র বলছে, দুটি স্টেশন মেরামতে ব্যয় ৫০ কোটি টাকার মধ্যে থাকবে।