বিশেষ মর্যাদার দিন ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) আজ

সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ মহামানব ইসলাম ধমের্র সবশেষ নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) এর ৬৩ বছরের জীবন শেষে একই দিনে ইহলোক ত্যাগ করেন মহানবী (সা.)। সারা বিশ্বের মুসলমানদের কাছে দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে বিশেষ মর্যাদার দিন। সারা বিশ্বের মতো যথাযোগ্য মর্যাদায় বাংলাদেশেও পালিত হচ্ছে পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী। 

এক সময় মক্কাসহ গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। আল্লাহকে ভুলে বহু ঈশ্বরবাদ, পৌত্তলিকতা, অবিচার, কুসংস্কার, জলুম, ব্যাভিচার, মিথ্যাচার, মানুষে মানুষে হানাহানিসহ নানা অপরাধে জড়িয়ে পড়েছিল সমাজের মানুষ। সে যুগকে বলা হত আইয়ামে জাহেলিয়াত।

অন্ধকার যুগ থেকে মানবকূলের মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মক্কা নগরীর সম্ভ্রান্ত কোরাইশ বংশে জন্ম নিলেন মানবজাতির সর্বোত্তম আদর্শ, শেষ নবী ও রাসুল হযরত মোহাম্মদ (সা.)।

ইসলামী বিভিন্ন সূত্র থেকে জানা যায়, ৫৭০ খ্রিস্টাব্দে ২৯ আগষ্ট রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ জন্ম ও ৬৩২ খ্রিস্টাব্দের ১১ জন হিজররি রবিউল আওয়াল মাসের ১২ তারিখ একই দিনে পরলোগ গমন করেন।

আরও পড়ুন:  বাংলাদেশে সস্তায় তেল দেবে আরামকো

দিনটি মুসলিম সমাজে ঈদে মিলাদুন্নবী হিসেবে পরিচিত। ঈদ, মিলাদ ও নবী তিনটি শব্দ যোগে দিবসটির নামকরণ হয়েছে।

মানবীয় গুনাবলীতে পরিপূর্ণ এই মহামানব ৪০ বছর বয়সে নবুওয়াতপ্রাপ্ত হন।

যার ওপর অবতীর্ণ হয় সর্বশেষ আসমানী কিতাব পবিত্র কোরআন শরীফ। এর প্রতিটা অংশ নিজের জীবনে বাস্তবায়ন করে দেখিয়েছেন। বার্তা দিয়েছেন, অন্য কেউ নয় এক আল্লাহর ইবাদত করার জন্যই মানুষের সৃষ্টি। আর, বিশ্ববাসীর কাছে জীবনাদর্শ রেখে গেছেন হাদিস রূপে।

বর্তমান বাস্তবতায় অন্যায়-অবিচার আর যুদ্ধ-বিগ্রহে অশান্ত পৃথিবী। শেষ নবী হযরত মুহাম্মদ দেখানো পথ তাই এখনও প্রাসঙ্গিক।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী  বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আগামীকাল সরকারি ছুটি।

এ উপলক্ষে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন এবং প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস পৃথক বাণী দিয়েছেন।

আরও পড়ুন:  তেহরানে রাইসি’র জানাজায় শোকার্ত মানুষের ঢল

ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী পালনের জন্য সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। এসব কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে মহানবী (সা.)-এর ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল। এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বিস্তারিত অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।

পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী (সা.) উদযাপন উপলক্ষে দেশের সব হাসপাতাল, কারাগার, সরকারি শিশুসদন, বৃদ্ধ নিবাস, মাদকাসক্তি নিরাময়কেন্দ্রে উন্নত খাবার পরিবেশনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে পক্ষকালব্যাপী অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

অনুষ্ঠানমালার মধ্যে রয়েছে- ওয়াজ, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল, সেমিনার, ইসলামি সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতা, আরবি খুতবা লিখন প্রতিযোগিতা, ক্বিরাত মাহফিল, হামদ-না’ত, স্বরচিত কবিতা পাঠের মাহফিল, ইসলামী ক্যালিগ্রাফি প্রদর্শনী, ইসলামী বইমেলা, বিশেষ স্মরণিকা ও ক্রোড়পত্র প্রকাশ।

আরও পড়ুন:  ট্রাম্প-শি-মোদি এসে কিছু করে দিয়ে যাবে না: মির্জা ফখরুল

এ উপলক্ষে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সকল বিভাগীয় ও জেলা কার্যালয়, ৫৪টি ইসলামিক মিশন ও ৮টি ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *