শ্রমিক অসন্তোষের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা ইতোমধ্যে কিছু রিপোর্ট পেয়েছি যেটা ওই দিকেই (ষড়যন্ত্র) ইঙ্গিত করে। রেজাল্টটা যদি আপনারা দেখেন এই সেপ্টেম্বর এবং অক্টোবরে, আসলে এটা তো সিজনাল বিজনেস, ৩ মাস আগে আমাদের মালিকপক্ষকে প্রস্তুত করতে হয়, ৩ মাস পরে যে অর্ডারটা মার্কেটে যাবে, সেটাকে প্রস্তুত করতে হয়। সে অর্ডারগুলো কিন্তু অনেক জায়গায় ক্যান্সেল হয়ে যাচ্ছে। প্রায় ১৫ থেকে ২০ শতাংশ অর্ডার ক্যান্সেল হচ্ছে। আমরা দেখতে পাচ্ছি কিছু নির্দিষ্ট দেশের বায়াররা এসে এই অর্ডারগুলো নেওয়ার জন্য লবিং করছেন, উঠেপড়ে লেগেছেন।’
শ্রমিক অসন্তোষ নিয়ন্ত্রণে সরকারের পদক্ষেপের বিষয়ে শ্রম উপদেষ্টা বলেন, ‘শ্রমিকদের অসন্তোষ নিয়ে প্রতিদিন সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়গুলোর উপদেষ্টারা বসছি। গতকালও আমরা বসেছিলাম, সেখানে ছয়জন উপদেষ্টা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে বসে থাকা অবস্থায় একটি বড় কোম্পানি বেতন দিতে না পারার কারণে সেখানে অগ্নিকাণ্ডের মতো ঘটনাও ঘটেছে। সেসময় বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নরের সঙ্গে কথা বলে ৭৯ কোটি টাকা ঋণের ব্যবস্থা করা হয়। এতে সেই বেল্টের ৪০ হাজার শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা হয়েছে। আজ সেজন্য শ্রমিক অসন্তোষ কম আছে।’
আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া বলেন, ‘এরপরও আমরা খুব গুরুত্বের সঙ্গে বিষয়টি দেখছি। যেসব সমস্যা আছে সেগুলো সমাধানের জন্য একটি পর্যালোচনা কমিটি শ্রম মন্ত্রণালয় থেকে করে দেওয়া হয়েছে। এই কমিটি শ্রম ভবনে বসবে। আমরা শ্রমিক ভাইদের আহ্বান জানাব, যে কোনো অভিযোগ যেগুলো নিষ্পত্তিযোগ্য তারা শ্রম আইনের মধ্যে সমাধান করতে পারবেন- সেগুলো সেখানে দেওয়ার জন্য বলেছি।’
কমিটির বিষয়ে তিনি বলেন, ‘কমিটিতে শ্রমিক নেতারা আছেন, মালিকপক্ষ আছেন এবং সুপ্রিম কোর্টের দুইজন আইনজীবী আছেন- যারা শ্রম আইন নিয়ে কাজ করেন। তাদের কাছে অভিযোগগুলো দিলে আমরা দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাতে এগুলো সমাধান করতে পারি সেজন্য মূলত আমাদের বর্তমান যে কমিটি তার বাইরে গিয়ে একটি রিভিউ কমিটি করে দেব। আশা করি দ্রুত সময়ের মধ্যে যে শ্রমিক অসন্তোষ আছে সেটা নিয়ন্ত্রণে আসবে। শ্রমিকদের যেসব সমস্যা আছে সেগুলোর সমাধান দিতে পারব।’
…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ