‘২০ দিনের মধ্যে লোডশেডিং কমবে’

লোডশেডিং দূর করতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ধীরে ধীরে উন্নতি হচ্ছে, ২০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান।

বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে ফোরাম ফর এনার্জি রিপোর্টার্স বাংলাদেশ (এফইআরবি) নির্বাহী কমিটির সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ মন্তব্য করেন। কয়েকদিন ধরে গরমের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে বিদ্যুতের লোডশেডিং, দিনে রাতে দফায় দফায় লোডশেডিংয়ের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

উপদেষ্টা বলেন, একসঙ্গে কয়েকটি ঘটনা ঘটেছে যে কারণে লোডশেডিং হচ্ছে। হঠাৎ করে বড়পুকুরিয়া কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ হয়ে গেছে। একই সময়ে রামপালের একটি ইউনিটে যান্ত্রিক ত্রুটি দেখা দিয়েছে। গ্যাস সরবরাহ ঠিক থাকলে এই সংকট সামাল দেওয়া সহজ হতো। কিন্তু সামিট গ্রুপের এফএসআরইউ (ভাসমান এলএনজি টার্মিনাল) কয়েক মাস ধরে বিকল থাকায় গ্যাস সরবরাহ বাড়ানো যাচ্ছে না। এলএনজি আমদানির কাজ চলছে, পনের ২০ দিনের মতো সময় লাগবে। তারপর গ্যাসের সরবরাহ বাড়বে। গ্যাস সংকটের কারণে শুধু আমরা না, শিল্প, সার কারখানা সব জায়গায় সমস্যা হচ্ছে।

আরও পড়ুন:  টুঙ্গিপাড়ায় ৭১৪ শিশুর কণ্ঠে ধ্বনিত হলো বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ

তিনি বলেন, বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। আশা করছি ধীরে ধীরে পরিস্থিতি উন্নতি হবে। আমরা ধারণা করছি ১৫ থেকে ২০ দিনের মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসবে।

লোডশেডিং প্রসঙ্গে বিদ্যুৎ বিভাগের সিনিয়র সচিব হাবিবুর রহমান বলেছেন, গতকালের (১০ সেপ্টেম্বর) তুলনায় আজকে পরিস্থিতি উন্নতি হয়েছে। ১১ সেপ্টেম্বর দুপুরের দিকে ১ হাজার মেগাওয়াটের মতো লোডশেডিং হয়েছে। বড়পুকুরিয়া বিদ্যুৎ কেন্দ্রের যে পাম্পটি বিকল্প হয়েছে, সেটি প্লেনে করে চীন থেকে আনা হচ্ছে। রোববারের মধ্যেই চালু হয়ে যাবে। রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের বিকল ইউনিট দ্রুত চালু করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সিনিয়র সচিব বলেন, অন্যসময় হলে হয়তো আপনারা এটা আঁচ করতে পারতেন না। এখন গ্যাস সংকটসহ অনেকগুলো ঘটনা একসঙ্গে ঘটেছে, যে কারণে সংকট দেখা দিয়েছে। গ্যাস থেকে ৭ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ পেতাম। গ্যাস সরবরাহ কমে যাওয়ায় ৪৮০০ মেগাওয়াট পাচ্ছি। সেখানে ২২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি তৈরি হয়েছে।

আরও পড়ুন:  পাকিস্তানে ব্যাপক বিক্ষোভের মধ্যে শপথ নিলেন পার্লামেন্ট সদস্যরা

ভারতীয় কোম্পানি আদানি গ্রুপের পাওনা টাকা প্রসঙ্গে বলেন, এখানে অর্থের সংকট নেই। আমরা সোনালী ব্যাংকে ১০০ মিলিয়ন টাকা দিয়ে দিয়েছি। তারা ডলারের অভাবে দিতে পারছে না। আমরা আরও টাকা দিতে পারি। আশাকরি আদানির বিদ্যুৎ পেতে কোন সমস্যা হবে না।

 

…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *