সংস্কারের জন্য ছয়টি কমিশন গঠন, নেতৃত্বে যারা

অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে রাষ্ট্র সংস্কারের অংশ হিসেবে ছয়টি কমিশন গঠনের ঘোষণা দিয়েছেন। এসব কমিশনের নেতৃত্বে বিশিষ্ট নাগরিকদের রাখা হয়েছে।

তিনি বলেন, দেশের নির্বাচনব্যবস্থার সংস্কারকে সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, কারণ জনগণের ভোটাধিকার ও মালিকানায় বিশ্বাসের ভিত্তিতে একটি সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচন নিশ্চিত করা জরুরি।

ড. ইউনূস উল্লেখ করেন, নির্বাচনের নামে সংখ্যাগরিষ্ঠতার একাধিপত্য এবং ক্ষমতা কুক্ষিগত করার আশঙ্কা দূর করতে নির্বাচন কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর সংস্কার করা হবে। সুষ্ঠু নির্বাচন নিশ্চিত করার জন্য পুলিশ প্রশাসন, জনপ্রশাসন, বিচার প্রশাসন, এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের সংস্কারকেও অপরিহার্য হিসেবে উল্লেখ করেন তিনি। এসব সংস্কার কেবল নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উন্নয়নেই নয়, বরং একটি জনমালিকানা ভিত্তিক, জবাবদিহিমূলক ও কল্যাণমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়ও সহায়ক হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন।

আরও পড়ুন:  বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সতর্ক অবস্থান

তিনি বলেন, ‘এর পাশাপাশি করে সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রতিনিধিত্ব ও স্বার্থ নিশ্চিত করার জন্য এবং জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বার্তাকে প্রতিফলিত করার জন্য সাংবিধানিক সংস্কারের প্রয়োজন আমরা অনুভব করছি। এসব বিষয়ে সংস্কার করার প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসাবে আমরা প্রাথমিকভাবে ছয়টি কমিশন গঠন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এসব কমিশনের কাজ পরিচালনার জন্য বিষয়ভিত্তিক অভিজ্ঞতা বিবেচনা করে ছয়জন বিশিষ্ট নাগরিককে এই কমিশনগুলো পরিচালিনা করার দায়িত্ব দিয়েছি। এর পর আরও বিভিন্ন বিষয়ে কমিশন গঠন প্রক্রিয়া আমরা অব্যাহত রাখব।’

ড. ইউনূস বলেন, নির্বাচন ব্যবস্থা সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. বদিউল আলম মজুমদার, পুলিশ প্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে কাজ করবেন সরফরাজ চৌধুরী, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, দুর্নীতি দমন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন ড. ইফতেখারুজ্জামান, জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন আবদুল মুয়ীদ চৌধুরী, সংবিধান সংস্কার কমিশনের প্রধান হিসেবে ড. শাহদীন মালিক দায়িত্ব পালন করবেন।

আরও পড়ুন:  বিএনপি-জামায়াতের রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে পুড়িয়ে মারার রাজনীতি : প্রধানমন্ত্রী

তিনি বলেন, এসব কমিশনের অন্য সদস্যদের নাম কমিশন প্রধানদের সঙ্গে আলোচনা করে ঠিক করা হবে। কমিশনগুলোর আলোচনা ও পরামর্শসভায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, ছাত্র, শ্রমিক, জনতা আন্দোলনের প্রতিনিধি, নাগরিক সমাজ ও রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন।

 

…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *