ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বক্তব্যে শিক্ষার্থীদের প্রতি সম্মান ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করা হয়েছে, বিশেষ করে যারা তাদের জীবন উৎসর্গ করেছেন। তিনি শহীদদের স্বপ্ন বাস্তবায়নের প্রতিজ্ঞার ওপর জোর দিয়েছেন, যা দেশের উন্নয়ন এবং ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার অঙ্গীকার। ছাত্র জনতার প্রতি আওয়ামী লীগ সরকারের নিপীড়নের বিষয়টি তুলে ধরে, তিনি দেশ গঠনে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
এই বক্তব্যে দেশের বর্তমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রতি ইঙ্গিত রয়েছে এবং দেশের ভবিষ্যৎ উন্নয়নের জন্য শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশগ্রহণের গুরুত্বও তুলে ধরা হয়েছে। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘তোমরা যে কাজ শুরু করেছো সেটি চালিয়ে যেতে হবে, না হলে সর্বনাশ হবে। তারা আবার অশান্তি সৃষ্টির জন্য জাতিকে দুঃস্বপ্নের মধ্যে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টার ত্রুটি রাখবে না।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ জন্মের পর থেকে রাষ্ট্র গঠনের এমন সুযোগ আসেনি। এই সুযোগ যাতে হাতছাড়া না হয়। হাতছাড়া হয়ে গেলে বাংলাদেশের আর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। শুধু রাষ্ট্র নয়, পৃথিবীর সম্মানিত রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হতে হবে। এমনভাবে দেশ গড়তে হবে যাতে পৃথিবীর মানুষ জানতে চাইবে- কি মন্ত্রে এই অনন্য দেশ হলো। এই মন্ত্র শিথিল হয়ে গেলে, আমাদের কপালে দুঃখ আছে। সেই দুঃখ যাতে আমাদের দেখতে না হয়।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘তোমাদের চিন্তা সঠিক ও স্বচ্ছ। তোমাদের চিন্তায় অনড় থাকো। যে যত পরামর্শ দিক এটা থেকে বেরিয়ে আসার পরামর্শ গ্রহণ করো না। এই বাস্তবায়ন থেকে দূরে যাওয়ার আমাদের কারো কোনো ইচ্ছে নেই। এই চিন্তা বাস্তবায়ন আমাদের সার্বক্ষণিক কাজ। তবে ভুলক্রমে যদি কোথাও সীমা অতিক্রম করি, আমাদের সঙ্গে সঙ্গে জানিয়ে দাও। আমরা সবাই একযোগে একসঙ্গে এই স্বপ্ন সফল করবো।’
প্রসঙ্গত, আজ রবিবার বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ের শাপলা হলে এ মতবিনিময় সভা চলে। সভা শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ছাত্ররা।
এর আগে ছাত্র-জনতার গণ-অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। এরপর গত ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার দায়িত্ব নেন ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ