ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বাণীটি সাক্ষরতার গুরুত্ব এবং শিক্ষার মাধ্যমে জাতি গঠনের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে স্পষ্ট এবং শক্তিশালী বার্তা প্রদান করেছে। তিনি যেভাবে শিক্ষা এবং সাক্ষরতার গুরুত্ব তুলে ধরেছেন, তা আমাদের সমাজের উন্নয়ন এবং মানবসম্পদের উন্নতির জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।
তিনি উল্লেখ করেছেন যে, সাক্ষরতা হচ্ছে শিক্ষা অর্জনের প্রথম পদক্ষেপ এবং জাতি গঠনের মূল ভিত্তি। আন্তর্জাতিক সাক্ষরতা দিবস পালনের মাধ্যমে জনগণকে সচেতন করে তোলা এবং গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করার লক্ষ্যে সবাইকে একসাথে কাজ করতে আহ্বান জানিয়েছেন।
এই দিবসটি আন্তর্জাতিকভাবে উদযাপন করে, শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা এবং তাৎপর্য সম্পর্কে জনগণের সচেতনতা বৃদ্ধি করার চেষ্টা করা হয়। বাংলাদেশের মতো দেশে যেখানে শিক্ষা এবং সাক্ষরতার প্রবৃদ্ধি জাতীয় উন্নয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, সেখানে এই ধরনের উদযাপন বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।
শিক্ষার মৌলিক অধিকার নিশ্চিত করতে সরকার এবং বেসরকারি সংস্থার সহযোগিতা এবং জনগণের অংশগ্রহণ অত্যন্ত প্রয়োজন। ড. ইউনূসের আহ্বান, সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমরা একটি সমৃদ্ধ এবং শিক্ষিত জাতি গঠনে সফল হতে পারব।
তিনি আরও বলেন, ‘দেশ গড়ার প্রধান হাতিয়ারও হচ্ছে শিক্ষা। নিরক্ষরতামুক্ত বাংলাদেশ গড়তে আনুষ্ঠানিক ও উপানুষ্ঠানিক উভয় ধারার শিক্ষা কার্যক্রমের প্রয়োজনীয়তা অপরিহার্য। মায়ের ভাষায় সাক্ষরতা অর্জনের পাশাপাশি অন্য এক বা একাধিক ভাষা শেখার সুযোগ সৃষ্টি করে আমাদের শিশু, কিশোর ও যুবদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধি করতে হবে।’
প্রধান উপদেষ্টা তার বাণীতে বলেন, ‘বহু ভাষায় সাক্ষরতালব্ধ জ্ঞান বিভিন্ন দেশ, সংস্কৃতি ও ভাষার মধ্যে দৃঢ় মেলবন্ধন তৈরি করে। আমাদের যোগাযোগ দক্ষতা বৃদ্ধির মাধ্যমে ব্যক্তি জীবনমান, দেশের উন্নয়ন ও শান্তি ত্বরান্বিত হবে। এ বছরের সাক্ষরতা দিবসের প্রতিপাদ্য তা অর্জনের দিকনির্দেশ করে।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আশা করি, সাক্ষরতার অভীষ্ট লক্ষ্য অর্জন ও সবার জন্য গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাসমূহ গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়নের পাশাপাশি কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণে সদা সচেষ্ট থাকবে। এজন্য আমি জনগণকে সঙ্গে নিয়ে একযোগে কাজ করার জন্য সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য প্রমোটিং মাল্টিলিঙ্গুয়াল এডুকেশন: লিটারেসি ফর মিউচুয়াল আন্ডারস্টান্ডিং এন্ড পিচ। যা বাংলায় মূলভাব ‘বহু ভাষায় শিক্ষার প্রসার: পারস্পরিক সমঝোতা ও শান্তির জন্য সাক্ষরতা’ সময়োপযোগী হয়েছে বলে আমি মনে করি।’