সংযুক্ত আরব আমিরাতে ক্ষমাপ্রাপ্ত ৫৭ বাংলাদেশির মধ্যে ১৩ জন দেশে ফিরে আসার খবরটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এর মধ্যে ১২ জন চট্টগ্রামের শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে এবং একজন ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছেছেন। তাদের দেশে ফিরে আসার এ ঘটনাটি আনন্দের এবং মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকে একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ।
প্রধান উপদেষ্টা শেখ মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান কর্তৃক ক্ষমাপ্রাপ্ত এই বাংলাদেশিদের দেশে ফিরে আসার বিষয়টি বাংলাদেশের সরকারের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ অর্জন। এরা মূলত অভিবাসন সংক্রান্ত বিভিন্ন কারণে সমস্যায় পড়েছিলেন, এবং এখন তারা আবার দেশে ফিরে এসে পরিবারের সাথে মিলিত হতে পারবে।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহ তাদের স্বাগত জানানোয় এই পরিস্থিতি আরও মানবিক হয়ে উঠেছে।
মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলে বিশেষ করে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশি অভিবাসীদের অনেকেই বিভিন্ন কারণে বৈধতা হারান অথবা সমস্যার সম্মুখীন হন। এমন পরিস্থিতিতে তাদের জন্য দেশে ফিরতে পারার সুযোগ অনেকটা স্বস্তির হতে পারে।
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় সংহতি জানিয়ে সংযুক্ত আরব আমিরাতে বিক্ষোভ করায় ৫৭ জন বাংলাদেশিকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দেয় দেশটির আদালত। তাদের মধ্যে তিনজনকে যাবজ্জীবন, ৫৩ জনকে ১০ বছর ও বাকি একজনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল।
উল্লেখ্য, পরবর্তীতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান গত ২৮ আগস্ট প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে টেলিফোনে অভিনন্দন জানান সংযুক্ত আরব আমিরাতের প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান। তখন টেলিফোনে কারাদণ্ডপ্রাপ্ত বাংলাদেশিদের মুক্তির অনুরোধ জানিয়েছিলেন ড. ইউনূস।
তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে গত মঙ্গলবার ৩ সেপ্টেম্বর সকালে কারাগারে বন্দি ওই ৫৭ জন বাংলাদেশির সাজা মওকুফ করে সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করেন প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ বিন জায়েদ আল নাহিয়ান।