ড. মুহাম্মদ ইউনূসের এই মন্তব্যে তিনি দক্ষিণ এশীয় আঞ্চলিক সহযোগিতা সংস্থা (সার্ক)-এর বর্তমান কার্যকারিতা নিয়ে তার হতাশা প্রকাশ করেছেন। সার্কের কার্যক্রম বর্তমানে কাগজে-কলমে সীমাবদ্ধ রয়েছে বলে তার বক্তব্যে উল্লেখ করেছেন, যা এই সংস্থার অগ্রগতির সীমাবদ্ধতাকে ইঙ্গিত করে।
তাছাড়া, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে সাক্ষাতের ইচ্ছা প্রকাশ করে তিনি দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক সহযোগিতা জোরদার করার আগ্রহ দেখিয়েছেন। এছাড়াও, সার্কের নেতাদের সঙ্গে ফটোসেশনে অংশগ্রহণের চেষ্টা করবেন বলে জানান, যা সার্কের পুনরুজ্জীবনের ইঙ্গিত বহন করতে পারে।
সার্ক নিয়ে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘সার্ক এক মহৎ উদ্দেশ্যে গঠিত হলেও এটি এখন শুধু কাগজে সীমাবদ্ধ এবং এটি এখন কাজ করছে না। আমরা সার্কের নাম ভুলে গেছি; আমি সার্কের চেতনার পুনরুজ্জীবন ঘটানোর চেষ্টা করছি।’ তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন সার্ক শীর্ষ সম্মেলন হয়নি। আমরা যদি একত্র হতে পারি, তবে অনেক সমস্যার সমাধান হবে। সার্কের অনুরূপ লক্ষ্য নিয়ে গঠিত হয়েছিল ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)। পারস্পরিক সহযোগিতার মধ্য দিয়ে এ জোট অনেক কিছু অর্জন করেছে। একই রকম অর্জন এখনো করতে পারেনি সার্ক।’
ড. ইউনূস বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়নের মধ্য দিয়ে ইউরোপের দেশগুলো অনেক কিছু অর্জন করেছে। সার্কের কাজ করার বিষয়টি আমাদেরও নিশ্চিত করতে হবে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দিকে তাকান, কত সুন্দরভাবে এটি কাজ করছে। পাকিস্তানকে নিয়ে যদি কোনো সমস্যা থেকে থাকে, তবে অন্য পথ খুঁজে বের করা যেতে পারে। কিন্তু সার্কের কার্যক্রম অবশ্যই থামানো উচিত নয়।’
…….ডিডিজে নিউজ/এম এফ