পাকিস্তান সরকার নতুন একটি ভিসা নীতিমালা ঘোষণা করেছে, যেখানে ১২৬টি দেশের নাগরিকরা, যার মধ্যে বাংলাদেশও অন্তর্ভুক্ত, ভিসা ফি ছাড়াই পাকিস্তানে যাতায়াত করতে পারবেন।
এই তথ্যটি বাংলাদেশে নিযুক্ত পাকিস্তানের হাইকমিশনার আহমদ মারুফ জানিয়েছেন। আজ সোমবার রাজধানীর বাংলাদেশ সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে তিনি এ তথ্য তুলে ধরেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়েছে। এই নতুন ভিসা নীতিমালা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে সহায়ক হতে পারে এবং বাংলাদেশ ও পাকিস্তানের নাগরিকদের মধ্যে যাতায়াত ও সাংস্কৃতিক বিনিময়ের সুযোগ বাড়াতে পারে।
বৈঠকে দুই দেশের মধ্যে বন্যা পুনর্বাসন, পারস্পরিক সম্পর্ক উন্নয়ন, ভিসা সহজীকরণ, সরাসরি ফ্লাইট চালু, কৃষি গবেষণায় সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হয় বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। বাংলাদেশের সাম্প্রতিক বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রভাব পাকিস্তানে পড়েছে জানিয়ে হাইকমিশনার আহমদ মারুফ বলেন, ‘সেসময় অনেক পাকিস্তানি নাগরিক বাংলাদেশের পতাকা উড়িয়ে আনন্দ-উৎসব করেছে।’ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বড় চ্যালেঞ্জের বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘দুর্নীতি প্রতিরোধ ও দ্রব্যমূল্যের লাগাম টেনে রাখাই সরকারের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’ পাকিস্তানও একই ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করছে বলে দুজন একমত প্রকাশ করেন। গত ১৫ বছরে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কে যে শুষ্কতা পরিলক্ষিত হয়েছে, তার উত্তরণ ঘটিয়ে পারস্পরিক সম্পর্ক জোরদারের আহ্বান জানান পাকিস্তানের হাইকমিশনার। এ ছাড়া পারস্পরিক ভিসা সহজীকরণের বিষয়ে দুই পক্ষই সম্মত হন। পারস্পরিক সম্পর্ক ও ব্যবসায়িক স্বার্থে দুই দেশের মধ্যে পুনরায় সরাসরি ফ্লাইট চালুর ওপর গুরুত্বারোপ করেন পাকিস্তানের হাইকমিশনার। তিনি জানান, সবশেষ ২০১৮ সালে দুই দেশের মধ্যে সরাসরি ফ্লাইট চালু ছিল, যা পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইনস (পিআইএ) অপারেট করত।