রবিবার খুলছে দর্শনার্থীদের জন্য সুন্দরবনের দুয়ার

সুন্দরবনের পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য রক্ষায় তিন মাস প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকার পর রবিবার থেকে আবারও সুন্দরবন উন্মুক্ত হতে যাচ্ছে। এই সিদ্ধান্তের ফলে পর্যটক, বনজীবী, এবং স্থানীয় জনগণের জীবিকা নির্বাহের সুযোগ সৃষ্টি হবে।

ট্যুর অপারেটর অ্যাসোসিয়েশন অব সুন্দরবনের (টোয়াস) সাধারণ সম্পাদক নাজমুল আজম উল্লেখ করেছেন যে, তারা ইতোমধ্যে সব ধরনের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছেন এবং টুরিস্টদের জন্য সুন্দরবনে প্রবেশের অনুমতি প্রদান করবেন। বুকিং পাওয়ার পর রবিবার থেকেই তারা পর্যটকদের নিয়ে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন।

শরণখোলা এলাকার বনজীবী বাদল হাওলাদারের মতামত থেকে বোঝা যায় যে, সুন্দরবনের ওপর নির্ভরশীল স্থানীয় জনগণ এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের খবরে সন্তুষ্ট। বহু মানুষ যারা সুন্দরবনের সম্পদ আহরণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করেন, তারা নিষেধাজ্ঞা শেষ হওয়ার পর থেকেই পুনরায় সুন্দরবনে প্রবেশের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। স্থানীয় জেলেরা বন কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে পাশ পারমিট নিয়ে বনে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন এবং আগামী রবিবার ভোররাতেই তারা সুন্দরবনের উদ্দেশ্যে যাত্রা শুরু করবেন।

আরও পড়ুন:  বিএসইসির চেয়ারম্যান হচ্ছেন না রিয়াজ

এই পদক্ষেপ সুন্দরবনের জীববৈচিত্র্য রক্ষার পাশাপাশি স্থানীয় অর্থনীতিকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করবে। তবে, ভবিষ্যতে পরিবেশ রক্ষা এবং টেকসই উন্নয়নের জন্য আরও পদক্ষেপ গ্রহণ করা প্রয়োজন।

সুন্দরবনের করমজল বন্যপ্রাণী প্রজনন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাওলাদার আজাদ কবির বলেন, ‘বনের প্রাণ প্রকৃতি রক্ষা, বন্য প্রাণী এবং নদী-খালের মাছের বিচরণ ও প্রজনন কার্যক্রমের সুরক্ষায় প্রতি বছরের মতো এ বছরও ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত তিন মাস সুন্দরবনে সব ধরনের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়। আগামী রবিবার নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হবে। সেদিন থেকে বনজীবী ও টুরিস্টরা নিয়ম মেনে অনুমতি সাপেক্ষে সুন্দরবনে প্রবেশ করতে পারবেন। আমরা বনজীবী ও টুরিস্টদের সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত আছি।’

সুন্দরবনের খুলনা অঞ্চলের বন সংরক্ষক মিহির কুমার দো বলেন, ‘সুন্দরবন জল-স্থলভাগ শুধু জীববৈচিত্র্যেই নয়, মৎস্য সম্পদের আধার। সে কারণে প্রথমে সুন্দরবনের মৎস্যসম্পদ রক্ষায় ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্সেস ম্যানেজমেন্ট প্ল্যানিংয়ের সুপারিশ অনুযায়ী ২০১৯ সাল থেকে প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ আহরণ বন্ধ ঘোষণা করা হয়। পরে ২০২২ সাল থেকে মৎস্য বিভাগের সঙ্গে সমন্বয় করে এক মাস বাড়িয়ে ১ জুন থেকে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত ৩ মাস সময় নির্ধারণ করে বন মন্ত্রণালয়। এ সময় সুন্দরবনের সব নদী ও খালে মাছ ধরা বন্ধের পাশাপাশি পর্যটক প্রবেশেও নিষেধাজ্ঞা থাকে।’

আরও পড়ুন:  ইভ্যালির রাসেল-শামীমার সম্পত্তি ক্রোকের নির্দেশ

 

…….ডিডিজে নিউজ

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *