দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজমের এই বক্তব্য প্রমাণ করে যে তিনি বন্যাদুর্গত এলাকার পরিস্থিতি নিয়ে সচেতন এবং তা নিরসনের জন্য উদ্যোগী। তার মতে, বন্যার পানি কমতে শুরু করেছে, যা একটি ইতিবাচক লক্ষণ, এবং তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে অচিরেই মানুষ তাদের বাড়িঘরে ফিরে যেতে পারবে।
এছাড়াও, খালবিল দখলের ঘটনাকে গুরুত্ব দিয়ে তিনি উল্লেখ করেছেন যে যারা অবৈধভাবে খালবিল দখল করেছেন, তাদেরকে নিজেরাই অপসারণ করতে হবে। এ ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হলে ত্রাণ কার্যক্রমে সহায়তা মিলবে এবং বন্যা পরিস্থিতি থেকে পুনরুদ্ধার প্রক্রিয়াও সহজ হবে। তার বক্তব্যে স্পষ্ট যে, সরকার খালবিল দখল মুক্ত করার মাধ্যমে প্রাকৃতিক জলপ্রবাহ নিশ্চিত করতে আগ্রহী, যা ভবিষ্যতে এ ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগের প্রভাব কমাতে সহায়ক হতে পারে।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় বন্যাকবলিত এলাকা পরিদর্শন করতে এসে লক্ষ্মীপুর শহর পুলিশ ফাঁড়িতে সেনাবাহিনীর তত্ত্ববধানে ত্রাণ পর্যবেক্ষণ কার্যালয়ে (অস্থায়ী) সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। এর আগে, লক্ষ্মীপুর জেলায় সেনাবাহিনীর দায়িত্বরত কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট কর্নেল মাজেদুক হক রেজা ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম পরিচালনাসহ বন্যার সার্বিক পরিস্থিতি ত্রাণ উপদেষ্টার সামনে আলোকপাত করেন।
ত্রাণ উপদেষ্টা ফারুক-ই-আজম বলেন, ‘ত্রাণ কার্যক্রমের সঙ্গে জড়িতদের সঙ্গে আমি কথা বলেছি। এখানে সুশৃঙ্খল ও সুবিন্যস্তভাবে ত্রাণ কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে দেখে আমি সন্তুষ্ট। আশা করছি, খুব দ্রুত আমরা এ বিপর্যয় কাটিয়ে উঠব। এরপরই পুনর্বাসন কর্মসূচি শুরু হবে। সেটাও যেন সুন্দরভাবে হয়, সে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।’ এ সময় লক্ষ্মীপুর জেলা প্রশাসক (ডিসি) সুরাইয়া জাহান, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ তারেক বিন রশিদ ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস) হাসান মোস্তফা স্বপনসহ সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।