ম্যাচের সেরা মুশফিক, পুরস্কারের টাকা দেবেন বন্যার্তদের

রাওয়ালপিন্ডিতে পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক জয় পেয়েছে বাংলাদেশ। দুর্দান্ত এই জয়ে সবচেয়ে বড় অবদান মুশফিকুর রহিমের। ১৯১ রানের মহাকাব্যিক এক ইনিংস খেলে হয়েছেন ম্যাচসেরা।
এই পুরস্কার থেকে প্রাপ্ত অর্থ তিনি বিলিয়ে দেবেন ফেনী ও নোয়াখালীসহ বাংলাদেশের বন্যায় আক্রান্তদের সহায়তায়। আজ রবিবার অবিস্মরণীয় জয়ের পর পুরষ্কার মঞ্চেই প্রশ্ন-উত্তর পর্বের শেষে এই ঘোষণা দেন মুশফিক।  এছাড়া জয়ের পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টেও একটি পোস্ট দিয়েছেন মি. ডিপেন্ডেবেল। সেখানে এই তারকা ব্যাটার লেখেন, ‘এই জয় বাংলাদেশের সকল মানুষের।’ এর আগে তিনি কথা বলেন নিজেদের প্রস্তুতি নিয়েও। বাংলাদেশ দল যখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যস্ত, তখন চট্টগ্রামে ক্যাম্প করেন লাল বলের ক্রিকেটাররা। সেখানে নিজেদের ভেতর ভাগ হয়ে ম্যাচ খেলেন। পরে পাকিস্তানেও ‘এ’ দলের হয়ে ম্যাচ খেলেন তারা। জয়ের পেছনে এসব কাজে এসেছে বলে জানান মুশফিক।
তিনি বলেন, ‘আমার জীবনে এটি অন্যতম সেরা জয় কারণ দেশের বাইরে আমরা খুব বেশি ভালো করিনি। প্রতিটি খেলোয়াড় পাকিস্তানে ও দেশেও ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। টেস্ট সিরিজের আগে দুই মাস বিরতি ছিল। বাংলা টাইগার্স ক্যাম্পে খেলোয়াড়রা ও ম্যানেজম্যান্ট ছিল। সাদা বলের ক্রিকেটাররা তখন বিশ্বকাপে খেলছিল।’
আরো বলেন, ‘আমি কোচিং স্টাফ ও ম্যানেজম্যান্টের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাই। যখন আমি এই ছেলেদের সঙ্গে খেলি, এটা আমাদের জন্য একটা বিলাসিতা; আমি চেষ্টা করি সেরাটা দেওয়ার। দেশের হয়ে ভালো কিছু করাটাই আমাকে অনুপ্রাণিত করে। ’ প্রসঙ্গত, রাওয়ালপিন্ডিতে টেস্টের প্রথম দিনের খেলা বেশিরভাগই বৃষ্টির কবলে পড়ে ভেস্তে যায়। দিনের শেষের ভাগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নামে পাকিস্তান। দ্বিতীয় দিনের শেষ সেশন পর্যন্ত ব্যাটিং করে স্কোরবোর্ডে ৬ উইকেটে ৪৪৮ রান তুলে ইনিংস ঘোষণা করেন দলটির অধিনায়ক শান মাসুদ। ওই দিনই শেষ বিকেলে বাংলাদেশকে ব্যাটিংয়ে পাঠায় স্বাগতকিরা। তাদের লক্ষ্য ছিল এই সময়ে দুয়েকটি উইকেট তুলে নেওয়া। তবে সেই ইচ্ছা পূরণ হতে দেননি বাংলাদেশের দুই ওপেনার।
বাংলাদেশ পুরো তৃতীয় দিন ও চতুর্থ দিনের শেষ বিকেল পর্যন্ত ব্যাটিং করে ৫৬৫ রানে অলআউট হয়। এই সময়ে দলের ব্যাটিংয়ের মেরুদণ্ড হয়ে ছিলেন মুশফিক। কার্যকরী সব জুটি গড়েছেন সাদমান ইসলাম, লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজদের নিয়ে। শেষ পর্যন্ত সম্ভাবনা জাগিয়েছিলেন ডাবল সেঞ্চুরিরও। তবে মাত্র ৯ রান দূরে থাকতে আউট হয়ে যান তিনি। ডাবল সেঞ্চুরির আক্ষেপ নিশ্চয়ই এবার ম্যাচ জয়ের আনন্দে মুছে যাওয়ার কথা মি. ডিপেন্ডেবলের।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *