বর্ষাকালে ফারাক্কার গেট খোলা স্বাভাবিক ঘটনা: ভারত

ফারাক্কা ব্যারাজের গেট খোলা নিয়ে মুখ খুলেছেন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সোয়াল। তিনি বলেন, আমরা ফারাক্কার গেট খোলা নিয়ে প্রচারমাধ্যমের রিপোর্ট দেখেছি, যা গঙ্গা/পদ্মা নদীতে তার প্রাকৃতিক প্রবাহপথে নদীর ভাটিতে ১১ লাখ কিউসেক পানি যেতে দেবে বলে জানানো হয়েছে। এটি একটি স্বাভাবিক ঘটনা, যা বর্ষার সময়ে ঘটে থাকে।

বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলে ভয়াবহ বন্যা চলার মধ্যে ফারাক্কার গেট খোলার বিষয়টি নিয়ে আজ দেশজুড়ে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এ পরিস্থিতিতে সোমবার রাতে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখোমুখি হন ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।

জয়সোয়াল বলেন, উজানে গঙ্গা নদীর অববাহিকায় ভারী বৃষ্টির ফলে নদীর প্রবাহ বাড়ে। এটা বুঝতে হবে যে ফারাক্কা কেবল একটি ব্যারাজ, বাঁধ নয়। যখনই পানির স্তর উঠে আসে, তখনই এটা ঘটে। এটি শুধু একটি কাঠামো, যেটা ফারাক্কা খালে ৪০ হাজার কিউসেক পানি প্রবাহিত করার জন্য নির্মিত। এই যে ব্যবস্থা, সেটা চালানো হচ্ছে গঙ্গা/পদ্মা নদীর ওপর গেট ব্যবহার করে।

আরও পড়ুন:  নববর্ষের শোভাযাত্রার সঙ্গে নেই চারুকলার ২৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা

তিনি বলেন, দুই দেশের মধ্যে ভুল–বোঝাবুঝি সৃষ্টির উদ্দেশ্যে বিষয়টি নিয়ে ভিডিও ও গুজব ছড়ানো হচ্ছে। একধরনের ভয়ের পরিস্থিতি সৃষ্টির চেষ্টাও চলছে। এ ধরনের প্রচেষ্টাকে তথ্য দিয়ে দৃঢ়ভাবে মোকাবিলা করা হবে।

ভারত সরকারের একটি সূত্র জানিয়েছে, তথ্য ও পরিসংখ্যান সময়মতো বাংলাদেশকে জানানো হয়েছে। দুই দেশ একটি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপও খোলা হয়েছে, যেখানে পানি-সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য আদান-প্রদান করা হচ্ছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *