রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র প্রকল্পে ৫০০ কোটি ডলার ঘুষ দেওয়ার তথ্য পুরোপুরি মিথ্যা ও গুজব বলে দাবি করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেক্সান্ডার মান্টিটস্কি।আজ রবিবার রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে অন্তর্বর্তী সরকারের অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সঙ্গে বৈঠক করেন রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ৫ বিলিয়ন ডলার একটি বড় অঙ্কের অর্থ, যেখানে প্রকল্পের কাজ এখনো চলমান সেখান থেকে এত বেশি অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার সুযোগ নেই। কেউ পাগল নয়, এতগুলো অর্থ দিয়ে দেবে। ইটস রিউমারস অ্যান্ড কমপ্লিটলি ফলস রিউমারস। দাবি করে তিনি বলেন, গত জানুয়ারিতে বাংলাদেশের সংসদ নির্বাচনের আগেই এই গুজবের প্লট তৈরি করা হয়েছিল। রাষ্ট্রদূত আরও জানান, নতুন অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে কথা হয়েছে। আগামীতে সব ধরনের আর্থিক এবং উন্নয়ন বাংলাদেশের পাশে থাকবে রাশিয়া।
গত ১৭ আগস্ট গ্লোবাল ডিফেন্স কর্পের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে ৫০০ কোটি ডলারের বেশি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ ওঠে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এ অর্থ আত্মসাতের সুযোগ করে দেয়। যাতে মধ্যস্থতা করেন ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় ও ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিক।
রাশিয়ার সহযোগিতায় বিদ্যুৎকেন্দ্রটির নির্মাণে খরচ ধরা হয় এক হাজার ২৬৫ কোটি ডলার। প্রয়োজনের তুলনায় যা অনেক বেশি। যাতে মালয়েশিয়ার একটি ব্যাংকের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে এই বাজেট থেকে ৫০০ কোটি ডলার আত্মসাতের সুযোগ করে দেয় প্রকল্প বাস্তবায়নকারী সংস্থা রোসাটম। নিজের ভাগ্নি টিউলিপ সিদ্দিকের মধ্যস্থতায় রাশিয়ার সঙ্গে এ চুক্তি করেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আর এ মধ্যস্থতার বিনিময়ে পাচার করা অর্থের ৩০ শতাংশ পেয়েছেন টিউলিপ সিদ্দিক, শেখ রেহানা ও পরিবারের কয়েকজন সদস্য।