ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ হয়েছে।আজ রবিবার রাত ৯টা ২০ মিনিটে সংঘর্ষ শুরু হয়। সংঘর্ষে অন্তত ২০ শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
জানা গেছে, সচিবালয়ে আনসারের একদল সদস্য বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা নাহিদ ইসলাম, সমন্বয়ক সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে আটকে রাখার খবরে সচিবালয়ের উদ্দেশে রওনা হন ঢাবি শিক্ষার্থীরা। এ সময় আনসার সদস্যরা শিক্ষার্থীদের ধাওয়া করে। এ সময় কয়েকজনকে লাঠিপেটা করে আনসার সদস্যরা। পরে শিক্ষার্থীরা ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে আনসার সদস্যরাও পিছু হটে। এর আগে, রাত সাড়ে ৮টার দিকে হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলম তাদের ফেসবুক পোস্টে আটক রাখার বিষয়টি জানালে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে জমা হতে থাকে। প্রথমে কিছু শিক্ষার্থী জড়ো হলেও ধীরে ধীরে বিভিন্ন হল থেকে লাঠিসোঁটাসহ সংগঠিত হয়ে শিক্ষার্থীরা টিএসসিতে জড় হয়। জড়ো হওয়া শিক্ষার্থীরা ‘স্বৈরাচারের দালালেরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘স্বৈরাচারের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘দালালির ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’ সহ নানা স্লোগান দেন। পরে রাত ৯টায় তারা সচিবালয়ের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করে।
এক শিক্ষার্থী রাজু ভাস্কর্যের সামনে হ্যান্ড মাইকে বলেন, স্বৈরাচারের দালালদের প্রতিহত করা হবে। সবাই টিএসসিতে আসুন। খবর এসেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহসহ অনেককে স্বৈরাচারের দালাল কিছু আনসার সচিবালয়ে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। স্বৈরাচারী আওয়ামী লীগ আনসারের মুখোশে ফিরে আসছে। স্বৈরাচারের দালালদের মাথাচাড়া দিয়ে ওঠার সুযোগ দেওয়া যাবে না। আমরা সচিবালয়ে গিয়ে এদের প্রতিহত করব।