বাংলাদেশ রেলওয়ের চিফ অপারেটিং সুপারিনটেনডেন্টের (পূর্ব) চট্টগ্রাম কার্যালয় থেকে গতকাল বৃহস্পতিবার জারি করা এক প্রস্তাবে এ তথ্য জানা গেছে। ট্রেন বন্ধের বিষয়ে জানতে চাইলে রেলওয়ের বিভাগীয় ব্যবস্থাপক (চট্টগ্রাম) মো. মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, চলমান বন্যা পরিস্থিতির কারণে (গতকাল) সকাল থেকেই চট্টগ্রামে ট্রেন চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। চট্টগ্রাম থেকে ঢাকা এবং চট্টগ্রাম থেকে সিলেটসহ সব লাইনে ট্রেন চলাচল বন্ধ রাখা হয়েছে। অনেক জায়গায় রেললাইনে পানি উঠে গেছে। ফলে ট্রেন চলাচল বন্ধ করা হয়েছে।
২০২৩ সালের আগস্টে হওয়া বন্যার পানির তোড়েও ঢাকা- কক্সবাজার রেললাইনের কিছু অংশের মাটি সরে গিয়ে বেঁকে যায়। ওই সময় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী এলাকায় বন্যার পানিতে রেললাইন বেঁকে গিয়েছিল। মহাসড়কেও সমস্যা : এদিকে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম এলাকা হাঁটুপানিতে তলিয়ে গেছে। এতে সড়কে যান চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। দূরপাল্লার বাস চলাচল একেবারে বন্ধ না হলেও গতকাল সীমিত হয়ে যায়। সকালেও ঢাকা থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে বাস ছেড়েছে। তবে বাসের সংখ্যা নিয়মিতের তুলনায় কম। বাস চলাচলের বিষয়ে জানতে চাইলে শ্যামলী এন আর ট্রাভেলের জেনারেল ম্যানেজার জীবন চক্রবর্তী বলেন, ‘বন্যার কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম বাস চলাচল বন্ধ হয়নি। বাস সীমিত আকারে চলছে। তবে খাগড়াছড়ি-রাঙামাটি পথে ঢাকা থেকে বাস চলাচল বন্ধ আছে। বন্যা পরিস্থিতির মধ্যে বাস চালিয়ে যাচ্ছে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন করপোরেশন (বিআরটিসি)। ঢাকা-চট্টগ্রামের পাশাপাশি চট্টগ্রাম-ফেনী বাস যোগাযোগ সচল রেখেছে প্রতিষ্ঠানটি।