পশ্চিমা বিশ্বের সন্তুষ্টি অর্জনে ইউক্রেনে মোদি

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পূর্ব ইউরোপ সফরের তৃতীয় দিন কাটছে। ১০ ঘণ্টার রেলযাত্রার পর তিনি সাত ঘণ্টার জন্য ইউক্রেনের কিয়েভে অবস্থান করছেন। খবর রয়টার্সের।

পোল্যান্ডের রাজধানী ওয়ারশ থেকে ‘রেল ফোর্স ওয়ান’ বিমানে চড়ে বৃহস্পতিবার ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের উদ্দেশে রওনা হন মোদি। শুক্রবার (২৩ আগস্ট) কিয়েভে পৌঁছে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি।

এ সফর উপলক্ষে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে মোদি বলেছেন, ‘বন্ধু ও অংশীদার রাষ্ট্র হিসেবে আমরা আশা করছি, এ অঞ্চলে (ইউক্রেন) দ্রুতই শান্তি ও স্থিতিশীলতা ফিরবে।’

আর ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, মোদির সঙ্গে সাক্ষাতে বেশ কিছু নথি স্বাক্ষরিত হতে পারে।

রাশিয়ার সঙ্গে ঐতিহাসিকভাবে ভালো সম্পর্ক ভারতের। এ ছাড়া আঞ্চলিক প্রতিদ্বন্দ্বী চীনকে মোকাবিলায় পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ নিরাপত্তা অংশীদারত্বের সম্পর্ক বজায় রাখছে ভারত।

আরও পড়ুন:  ১০০ দিনের মধ্যে চীন সফর করতে চান ট্রাম্প: রিপোর্ট

গত ৮ জুলাই ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকে অংশ নিয়ে রাশিয়া সফর করেছিলেন মোদি। এখন মনে করা হচ্ছে, কূটনৈতিক ভারসাম্য রক্ষা করতে এবং রাশিয়ার প্রতিকূল অবস্থার মধ্যে শান্তি প্রতিষ্ঠায় সমর্থন জানাতে এই সফর করছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী।

জেলেনস্কির চিফ অব স্টাফ অ্যান্ড্রি ইয়রমাক এ বিষয়ে মন্তব্য করেছেন, মোদি শান্তি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে পারেন।

তবে ইউক্রেনের অনেকেই মোদিকে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠজন বলে মনে করেন। ফলে মোদি একজন মধ্যস্থতাকারী হিসেবে কতটুকু কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবেন, সেটিও স্পষ্ট নয়। তিনি গত জুলাই মাসে মস্কো সফরে গিয়ে পুতিনকে আলিঙ্গন করায় ইউক্রনবাসীর তীব্র নিন্দার মুখে পড়েছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *