গত ১৩ আগস্ট অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ প্রজ্ঞাপন জারি করে তাকে চার বছরের জন্য চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভিন্ন পক্ষ এবং বিএসইসির কর্মকর্তাদের একাংশ আপত্তি তোলে।
এতে নতুন কর্মস্থলে যোগদানের বিষয়ে কিছুটা সময় নেন মাসরুর রিয়াজ। যদিও এই সময়ের মধ্যে বিএসইসির কর্মকর্তারা তাদের আপত্তি প্রত্যাহার করেন। তবে নিয়োগের শুরুতে তাকে নিয়ে বিভিন্ন পর্যায় থেকে আপত্তি ওঠায় শেষ পর্যন্ত তিনি ওই পদে যোগ না দেয়ার সিদ্ধান্ত নেন। এ বিষয়ে গণমাধ্যমকে তিনি বলেন, দেশের এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে আমার বর্তমান অবস্থান থেকে একজন অর্থনীতিবিদ হিসেবে দেশের এবং অর্থনীতির জন্য আরও বড় পরিসরে কাজ করতে পারব বলে মনে করি। সামগ্রিক অর্থনীতি, বিশেষ করে বাণিজ্য, বিনিয়োগ এবং আর্থিক খাত সংক্রান্ত নীতি বিশ্লেষণ, সংস্কার কৌশল ও সংলাপের মাধ্যমে দেশের কল্যাণে কার্যকর নীতি প্রণয়ন ও সংস্কার বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে ভূমিকা রাখার সুযোগ রয়েছে। এসব বিবেচনায় আমি সবিনয়ে বিএসইসির চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। জানা যায়, মাসরুর রিয়াজের দায়িত্ব গ্রহণের অপারগতার বিষয়টি জানার পর বিএসইসির চেয়ারম্যান নিয়োগের জন্য নতুন করে যোগ্য ব্যক্তির খোঁজে নেমেছে অর্থ মন্ত্রণালয়। এর মধ্যে একাধিক ব্যক্তির তথ্য সংগ্রহ করছে মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগ।
উল্লেখ্য, ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে শেখ হাসিনার পদত্যাগের পর ১১ আগস্ট বিএসইসির চেয়ারম্যানের পদ থেকে পদত্যাগ করেন শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম।