চট্টগ্রামে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাছান চৌধুরী নওফেলসহ ৩৪ জনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে। নগরীর বহদ্দারহাট এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে কলেজছাত্র তানভীর ছিদ্দিকী হত্যার অভিযোগে এই মামলা করা হয়। 

শুক্রবার (১৬ আগস্ট) রাতে নগরের চান্দগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন নিহত ছাত্রের চাচা মোহাম্মদ পারভেজ।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী,  ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. এসরারুল হক, জামালখান ওয়ার্ড কাউন্সিলর শৈবাল দাশ সুমন, চকবাজারের ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, নগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, নগর আওয়ামী লীগ নেতা বাবর আলী, যুবলীগ নেতা মো. কাইসার, মাহবুব আলম, মহেশখালী উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক তারেক বিন ওসমান শরীফ, নোমান শরীফ, নগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মহিউদ্দীন ফরহাদ, মো. দেলোয়ার, মো. জালাল, মো. ফরিদ।

আরও পড়ুন:  দামেস্কে পৌঁছে সেজদায় আল-জোলানি, বিপ্লবের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাষণ

এছাড়া সিটি কলেজ ছাত্র সংসদের ভিপি মো. তাহসীন, সিটি কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক হোসাইন অভি, এইচ এম মিঠু, নুরুল আলম প্রকাশ কালা বদা, আরিফ ইফতেকার রশিদ, ওসমান গণি, থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা ইলিয়াছ বাবুল, মাইনুল ইসলাম শরীফ, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জিয়াউদ্দীন আরমান, যুগ্ম সম্পাদক মনির উদ্দিন, যুবলীগ নেতা মো. ফিরোজ, মোঃ জাফর, জাফর আলম, মনছুর আবেদীন, আবুল হাসনাত, মোহাম্মদ সুমন উদ্দীন, বাঁশখালী উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক মিজান সিকদার, যুবলীগ নেতা মো. শোয়াইবকে আসামি করা হয়েছে।

মামলার এজাহারে বাদী অভিযোগ করেন, তার ভাতিজা তানভীর ছিদ্দিকী গত ১৮ জুলাই দুপুর আড়াইটার দিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে অন্যান্য ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে ‘শাট-ডাউন’ কর্মসূচিতে অংশ নেয়। শিক্ষার্থীরা পাঁচলাইশ থানার মুরাদপুর এলাকা থেকে মিছিলযোগে চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারের সামনে রাস্তায় শান্তিপূর্ণভাবে অবস্থান কর্মসূচি পালন করার সময় বিকাল সাড়ে চারটার দিকে সাবেক প্রধানমন্ত্রী এবং শিক্ষামন্ত্রীর নির্দেশে আসামিরা দেশীয় ও মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের উপর হামলা  এবং এলোপাতাড়ি গুলি বর্ষণ করতে থাকে।

আরও পড়ুন:  লন্ডনের উদ্দেশে ঢাকা ছাড়লেন খালেদা জিয়া

এতে তানভীরসহ আন্দোলনকারী অনেকেই গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়। তানভীরকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

একই ঘটনায় একই স্থানে গুলিবিদ্ধ হয় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র হৃদয় চন্দ্র তরুয়া (২৩)। তিনি ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ও বহদ্দারহাট কাঁচা বাজার মুদির দোকানের কর্মচারী পথচারী সাইমন প্রকাশ মাহিন চট্টগ্রাম মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *