কোটা সংস্কার আন্দোলনটি ক্রমশ গণ-অভ্যুত্থানের রূপ ধারণ করে, যার ফলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশত্যাগ করেন। এ ঘটনার পর, আওয়ামী লীগের অনেক মন্ত্রী এবং এমপি আত্মগোপনে চলে যান বা গ্রেপ্তার হন।
এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ঘটনা হলো সালমান এফ রহমানের গ্রেপ্তার, যিনি রাজধানীর নিউমার্কেট থানায় হকার শাহজাহান আলী হত্যা মামলায় অভিযুক্ত হন। তাকে ১০ দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে এবং বর্তমানে তিনি ডিবি হেফাজতে আছেন। তবে, এই মামলায় তার নাম নেই, অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। বর্তমান পরিস্থিতিতে এটি বেশ স্পর্শকাতর একটি বিষয়, এবং এটি দেশে একটি গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রতিফলন হতে পারে।
ডিএমপি সূত্র জানায়, গ্রেপ্তার ব্যক্তির অপরাধ শুধু পুলিশ কেইসের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। শেয়ারবাজারসহ অনেক অর্থনৈতিক কেলেঙ্কারিতে জড়িত সালমান এফ রহমান। তাই তাকে জিজ্ঞাসাবাদের ক্ষেত্রে হত্যা মামলার পাশাপাশি অর্থনৈতিক বিষয়কে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই রিমান্ডে হত্যা মামলার পাশাপাশি বিগত সরকারের অপকর্ম ও দুর্নীতিসহ নানা বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তিনি অজানা অনেক চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছেন।
বুধবার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ডে নেয় পুলিশ। তিনি এখন ডিবি হেফাজতে আছেন। রিমান্ডের প্রথম দিনের জিজ্ঞাসাবাদে দেশে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি তৈরির জন্য তিনি সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে দোষারোপ করেছেন।
সালমান এফ রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করার সময় ডিবির এক কর্মকর্তা দুজনের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনার অনিয়ম, দুর্নীতি ও লুটপাটের কারণেই দেশের এই অবস্থা। এ সময় তিনি নির্বিকার ছিলেন। গোয়েন্দা পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, সালমান এফ রহমান মানসিক ট্রমার মধ্যে রয়েছেন। তিনি বিশ্বাসই করতে চাচ্ছেন না যে এত তাড়াতাড়ি আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হবে।