অস্ট্রেলিয়ায় চলমান টপ এন্ড সিরিজে মেলবোর্ন রেনেগেডসের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ম্যাচেই জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ এইচপি। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে একই ফল আনতে পারল না আকবর আলীর দল। তাসমানিয়ার বিপক্ষে হেরে গেছে ৬ উইকেটে।
প্রথম ম্যাচের মতো দ্বিতীয় ম্যাচেও প্রথমে ব্যাট করে লড়াকু পুঁজি পেয়েছিল বাংলাদেশ। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেট হারিয়ে স্কোরকার্ডে তোলে ১৬৬ রান। জবাবে ৩ বল ও ৬ উইকেট হাতে রেখেই লক্ষ্যে পৌঁছে যায় তাসমানিয়া। বাংলাদেশের হয়ে এদিন ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম ২৮ রান করলেও খেলতে হয়েছে ২৯ বল। তবে ২৩ বলে ৩৮ রানের ঝকঝকে ইনিংস এসেছে আরেক ওপেনার জিসান আলমের ব্যাটে। আগের ম্যাচে ফিফটি পাওয়া পারভেজ হোসাইন ইমন আজও ব্যাট হাতে দেখিয়েছেন দৃঢ়তা। ২৯ বলে অপরাজিত ৩৯ রানের ইনিংস খেলা ইমনই দলের সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। শেষের দিকে রান তুলতে সংগ্রাম করতে হয়েছে বাংলাদেশের ব্যাটারদের। তাতে ১৬৬ রানেই থামেন আকবর আলীরা।
১৬৭ রানের জবাব দিতে নেমে ৫১ রানের মধ্যেই ৩ উইকেট হারায় তাসমানিয়া। তবে চতুর্থ উইকেটে চার্লি ওয়াকিম ও জেক ডোরানের ব্যাটে ম্যাচ থেকে ছিটকে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ৪১ বলে ৬৬ রান যোগ করেন এই দুজন। দলীয় ১১৭ রানের মাথায় ওয়াকিম আউট হলেও দলকে জিতিয়েই মাঠ ছাড়েন ডোরান। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে ৭১ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।
বাংলাদেশের হয়ে এক রাকিবুল হাসান ছাড়া দাপট দেখাতে পারেননি কেউই। ৩ ওভার ৩ বলে ২৫ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন এই স্পিনার। একটি করে উইকেট নেন আলিস আল ইসলাম, আবু হায়দার রনি ও মাহফুজুর রহমান রাব্বি।
টপ এন্ড টি-টোয়েন্টি সিরিজে অংশগ্রহণ করেছে ৯টি দল। এর মধ্যে বাংলাদেশ এইচপি ও পাকিস্তান ‘এ’ (শাহিনস) অস্ট্রেলিয়ার বাইরের দল। অস্ট্রেলিয়ার দলগুলো হচ্ছে- অ্যাডিলেইড স্ট্রাইকার্স, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি, মেলবোর্ন রেনেগেডস, মেলবোর্ন স্টারস, নর্দান টেরিটরি, পার্থ স্কোরচার্স ও তাসমানিয়া।