একাত্তরে মানতাবিরোধী অপরাধে গঠিত আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু নথি সরানোর খবর শুনে সেগুলো আটকানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষের দুই আইনজীবী (ডিফেন্স কাউন্সেল)।তারা হলেন আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম ও আবদুস সাত্তার পালোয়ান।
তবে প্রসিকিউশনের কর্মকর্তা জানান, তারা এগুলো তালা দিয়ে রেখেছেন। আজ সোমবার সকালে এ ঘটনা ঘটে বলে তারা জানান। আইনজীবী গাজী এম এইচ তামিম সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা সকালে খবর পেলাম আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন থেকে কিছু ডকুমেন্ট, কিছু লোকজন নিয়ে যাচ্ছেন। আমি এবং আবদুস সাত্তার পালোয়ান ট্রাইব্যুনালের রেজিস্ট্রার অফিস এবং প্রসিকিউশন অফিসে যাই। সেখানে জানতে পারলাম এ রকম কিছু ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে সঙ্গে আমরা থামালাম এবং ডকুমেন্টগুলো যার যার রুমে পাঠিয়ে যিনি অফিসের দায়িত্বে আছে তার কাছে চাবি রেখে এসেছি। বলেছি এগুলো রাষ্ট্রীয় সম্পদ। সরকারের নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এখান থেকে কোনো নথি বের হবে না বা ঢুকবে না।’
আবদুস সাত্তার পালোয়ান বলেন, ‘ধানমণ্ডিতে তদন্ত সংস্থার অফিসের নথিও সংরক্ষণ করতে হবে। এটা সরকারের কাছে আমাদের দাবি।’
স্বাধীনতার ৩৯ বছর পর মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হয় ২০১০ সালের ২৫ মার্চ। পরে ২০১২ সালের ২২ মার্চ ট্রাইব্যুনাল-২ নামে আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠন করা হয়। ২০১৫ সালের ১৫ সেপ্টেম্বর দুটিকে একীভূত করে আবার একটি ট্রাইব্যুনাল করা হয়। এখন একটি ট্রাইব্যুনালে চলছে বিচারকাজ।