ড. আসিফ নজরুলের এই বক্তব্যটি বাংলাদেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতির প্রতিফলন হিসেবে বিবেচিত হতে পারে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নেওয়ার পর তার এই মন্তব্যে তিনি যে ‘পশু শক্তি’র বিরুদ্ধে লড়াই করার কথা বলেছেন, তা সম্ভবত পূর্ববর্তী সরকারের দমনমূলক কার্যকলাপ বা দুর্নীতির বিরুদ্ধে ইঙ্গিত করছে।
তিনি সতর্ক করে দেন যে, নতুন সরকারের জন্য সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো সেই পুরানো শক্তির মতো হয়ে না যাওয়া। ছাত্র ও জনতার যে মহান উদ্যোগ এবং সংগ্রামের মাধ্যমে নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে, সেটির গুরুত্ব যেন নতুন সরকার ভুলে না যায় এবং ক্ষমতার অপব্যবহার না করে। এতে তিনি দ্বিতীয় মুক্তিযুদ্ধের মতো মহান সংগ্রামের সঙ্গে এই পরিবর্তনকে তুলনা করেছেন, যা দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ অর্জন হতে পারে।
ড. আসিফ নজরুলের মন্তব্যের মূল লক্ষ্য নতুন সরকারকে সতর্ক করা এবং দেশকে একটি সুশাসনের দিকে পরিচালিত করা।
বঙ্গভবনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের উপদেষ্টা হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার পর তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় আসিফ নজরুল আরও বলেন, ‘আপনারা জানেন, একটা অস্বাভাবিক পরিস্থিতিতে একটা ল অ্যান্ড অর্ডার সিচুয়েশন তৈরি হয়েছে দেশে এবং এটাই স্বাভাবিক। কারণ ১৫ বা ১৭ বছর একটা স্বৈরাচারী শাসন ছিল। একটা অন্ধকার যুগ ছিল, মানুষের মনে অনেক যন্ত্রণা জমে ছিল। সেটা আউট পাস হয়েছে। কিন্তু তারপরেও সেটা অতিরিক্ত পর্যায়ে চলে গিয়েছিল যেটা কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়।’
তিনি বলেন, ‘আমরা অনেক পুলিশ সদস্য, অনেক সংখ্যালঘু মানুষের আর্তনাদ শুনেছি, অনেক স্টোরি আছে, যা আমি নিজে শুনেছি। এটা কোনোভাবে প্রত্যাশিত নয়। আমাদের ক্রোধ সংবরণ করতে হবে। আইনগতভাবে যারা দোষী আছে তাদের শাস্তি দেওয়ার জন্য ব্যবস্থা নিতে হবে।’
বৃহস্পতিবার রাত সোয়া ৯টার দিকে বঙ্গভবনে দরবার হলে এই শপথ অনুষ্ঠান হয়।
তাদের শপথ বাক্য পাঠ করান রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। এর আগে রাত ৮টা ৪৫ মিনিটের দিকে বঙ্গভবনে পৌঁছান ড. ইউনূস। শপথ অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করা হয়। এরপর কোটা সংস্কার আন্দোলনে নিহতদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়।
…….ডিডিজে নিউজ