হানিয়ার হত্যাকাণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য সহায়ক নয়: বাইডেন

হামাসের শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়ার নিহত হওয়া গাজায় চলমান যুদ্ধবিরতি সংলাপের জন্য কোনোভাবেই সহায়ক হবে না বলে মন্তব্য করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) হোয়াইট হাউসে এক সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই মন্তব্য করেন। খবর রয়টার্সের।

ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকরা তাকে প্রশ্ন করেন, সম্প্রতি ইসমাইল হানিয়ার হত্যাকাণ্ড গাজায় যুদ্ধবিরতির সংলাপকে এগিয়ে নেওয়ার জন্য সহায়ক হবে কি না। উত্তরে বাইডেন বলেন, “না, এটি সহায়ক হবে না। বৃহস্পতিবার সকালে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে টেলিফোনে কথা হয়েছে আমার। তাকেও আমি এই কথা বলেছি।”

ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ানের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তেহরানে গিয়েছিলেন হামাসের শীর্ষ নেতা ও রাজনৈতিক শাখার প্রধান ইসমাইল হানিয়া। তেহরানের যে বাসভবনে তিনি উঠেছিলেন, সেখানেই এক দেহরক্ষীসহ ৩১ জুলাই নিহত হন হানিয়া।

আরও পড়ুন:  বিজেপি জোটের নীতীশ-নাইডুর সঙ্গে যোগাযোগ করছে কংগ্রেস

এখন পর্যন্ত হত্যার দায় কেউ স্বীকার করেনি, তবে এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে যে ইসরায়েলের গোয়েন্দা সংস্থা সরাসরি জড়িত, সে সম্পর্কে সবাই প্রায় নিশ্চিত।

৭ অক্টোবর, হামাস ও তার মিত্রগোষ্ঠী প্যালেস্টিনিয়ান ইসলামিক জিহাদের প্রায় ১ হাজার যোদ্ধা ইসরায়েলের ভূখণ্ডে অতর্কিত হামলা চালায়। এলোপাতাড়ি গুলি চালিয়ে তারা হত্যা করে ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনিকে এবং জিম্মি হিসেবে ২৪০ জনকে গাজায় ধরে নিয়ে যায়।

অতর্কিত এই হামলার জবাব দিতে এবং জিম্মিদের উদ্ধার করতে ওইদিন থেকেই গাজায় অভিযান শুরু করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ), যা এখনও চলছে। অভিযানে এ পর্যন্ত প্রায় ৪০ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় ১ লাখ। এছাড়া ইসরায়েলি বাহিনীর গোলায় পুরো গাজা উপত্যকা পরিণত হয়েছে ধ্বংসস্তূপে।

আরও পড়ুন:  সৌদিতে যাচ্ছেন ট্রাম্প, দেবেন ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র বিক্রির প্রস্তাব

এই যুদ্ধের শুরু থেকেই ইসরায়েলি সরকার ও হামাসের মধ্যে মধ্যস্থতার ভূমিকায় রয়েছে মিসর, কাতার ও যুক্তরাষ্ট্র। এই তিন দেশের তৎপরতায় নভেম্বরে এক সপ্তাহের অস্থায়ী বিরতিতে সম্মত হয়েছিল ইসরায়েল ও হামাস। তারপর চলতি বছরের শুরু থেকে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির জন্য তৎপরতা চালিয়ে আসছে যুক্তরাষ্ট্র, মিসর ও কাতার।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *