গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারসহ কয়েকটি দাবিতে দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি করেছেন শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এতে অংশ নিয়েছেন  শিক্ষার্থী-শিক্ষক, শ্রমিক, সাংস্কৃতিককর্মী, চিকিৎসক, আইনজীবী, প্রকৌশলী, বুদ্ধিজীবীসহ সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ।

দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি থেকে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়াসহ চার দফা দাবি জানানো হয়। এতে অংশ নিয়ে চার দাবি ঘোষণা করেন ছাত্র ইউনিয়নের একাংশের সভাপতি রাগিব নাঈম।

দাবিগুলো মানতে আগামী রবিবার পর্যন্ত আলটিমেটাম দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। এই কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক আনু মোহাম্মদ।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, শুক্রবার (২ আগস্ট) বিকেল ৩টায় প্রেস ক্লাব থেকে গণমিছিল বের করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনকারীরা। প্রেস ক্লাব থেকে মিছিল নিয়ে হাইকোর্টসংলগ্ন কদম ফোয়ারা মোড় প্রদক্ষিণ করে দোয়েল চত্বর হয়ে টিএসসি হয়ে শহীদ মিনারে এসে অবস্থান নেন আন্দোলনকারীরা।

আরও পড়ুন:  সোমবার কিশোরগঞ্জ যাচ্ছেন রাষ্ট্রপতি
গণগ্রেপ্তার বন্ধ, জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচার, আটক শিক্ষার্থী-জনতার মুক্তি, কারফিউ প্রত্যাহার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া ও অসংখ্য শিক্ষার্থী-জনতাকে হত্যার দায়ে সরকারের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থী-জনতার দ্রোহযাত্রা কর্মসূচি থেকে এই চার দফা দাবি জানানো হয়।

দাবিগুলো হলো রবিবারের মধ্যে গ্রেপ্তারকৃতদের মুক্তি দিতে হবে, কারফিউ তুলে দিতে হবে, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিতে হবে এবং সরকারকে পদত্যাগ করতে হবে। রবিবারের মধ্যে এসব দাবি মানা না হলে রবিবার আবারও প্রেস ক্লাব থেকে গণপদযাত্রা কর্মসূচি শুরু হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *