গজাবে নতুন চুল : ফলেই মিটবে চুলের সমস্যা

চুল পড়ার সমস্যা আজকাল অনেকেই সম্মুখীন হচ্ছেন এবং এটি সত্যিই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। চুলের স্বাস্থ্যের জন্য সঠিক পরিচর্যা ও খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এখানে কিছু কার্যকরী পরামর্শ দেয়া হল যা চুল পড়ার সমস্যা কমাতে সহায়ক হতে পারে:

  • সঠিক খাদ্যাভ্যাস: প্রোটিন সমৃদ্ধ খাদ্য যেমন ডিম, মাছ, মুরগীর মাংস, বাদাম, দই, এবং শাকসবজি খাওয়া উচিত। এছাড়া ভিটামিন এ, ভিটামিন ই, এবং আয়রন সমৃদ্ধ খাদ্য গ্রহণ করা উচিত।
  • অতিরিক্ত তেল-মশলা এবং ভাজাভুজি খাবার এড়িয়ে চলা: অতিরিক্ত তেল ও মশলা যুক্ত খাবার এবং ভাজাভুজি চুলের স্বাস্থ্যের ক্ষতি করে। তাই এই ধরনের খাবার কম খাওয়া উচিত।
  • সঠিক পরিচর্যা: নিয়মিত চুল পরিষ্কার রাখা এবং সঠিক শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করা উচিত। চুল ধোয়ার পর মৃদু ভাবে চুল মোছা এবং তীব্রভাবে ঘষা থেকে বিরত থাকা উচিত।
  • মানসিক চাপ কমানো: মানসিক চাপ চুল পড়ার একটি প্রধান কারণ হতে পারে। তাই যোগব্যায়াম, মেডিটেশন, এবং পর্যাপ্ত ঘুমের মাধ্যমে মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত।
  • চিকিৎসকের পরামর্শ: চুল পড়ার সমস্যা যদি বেশি হয়ে যায় তাহলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। প্রয়োজনে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ বা থেরাপি নেওয়া যেতে পারে।
  • প্রাকৃতিক তেল ব্যবহার: নারকেল তেল, অলিভ অয়েল, এবং আমলকি তেল চুলের জন্য অত্যন্ত উপকারী। নিয়মিত এই তেলগুলির মিশ্রণ চুলে লাগিয়ে ম্যাসাজ করা উচিত।
আরও পড়ুন:  কিংবদন্তি অভিনেত্রী ববিতা অসুস্থ

এই সমস্ত পদক্ষেপ গ্রহণ করলে চুল পড়ার সমস্যা কমানো সম্ভব হতে পারে। তবে সমস্যাটি যদি দীর্ঘস্থায়ী হয়, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত। চুলের সুস্থতার জন্য স্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাস অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে ফল খাওয়া চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সহায়ক। এখানে পাঁচ ধরনের ফলের তালিকা দেওয়া হলো যেগুলি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়ক হতে পারে এবং চুলের গঠন ও গোড়া মজবুত করতে পারে:

  • আমলকি (ইন্ডিয়ান গুজবেরি): আমলকিতে প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা চুলের বৃদ্ধির জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি চুলের গোড়া মজবুত করে এবং উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি করে।
  • পেঁপে: পেঁপেতে উপস্থিত বিটা-ক্যারোটিন এবং ভিটামিন এ চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখে। এটি চুলের গোড়া শক্তিশালী করে এবং নতুন চুল গজাতে সহায়তা করে।
  • কমলা: কমলা এবং অন্যান্য সাইট্রাস ফল ভিটামিন সি সমৃদ্ধ যা কোলাজেন উৎপাদনে সহায়ক এবং চুলের গঠন ভালো রাখে।
  • স্ট্রবেরি: স্ট্রবেরিতে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে যা চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এটি চুলের উজ্জ্বলতা বজায় রাখে।
  • আঙুর: আঙুরে থাকা ভিটামিন ই এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের গোড়া মজবুত করে এবং চুলের বৃদ্ধি ত্বরান্বিত করে। এটি চুলের উজ্জ্বলতাও বৃদ্ধি করে।
আরও পড়ুন:  ভারতের পররাষ্ট্র সচিব ঢাকায় আসছেন সোমবার

এই ফলগুলি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করলে চুলের স্বাস্থ্যের উন্নতি হতে পারে এবং চুল পড়ার সমস্যা কমানো সম্ভব হতে পারে।

চলুন জেনে নেওয়া যাক কী কী ফল খেলে আপনার চুল পড়ার সমস্যা কমবে এবং দ্রুত নতুন চুল গজাবে:

পাকা পেঁপে- পাকা পেঁপে চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। শুধু নতুন চুল গজাতে নয়, চুল পড়ার সমস্যা কমাতেও সাহায্য করে এই ফল। ভিটামিন এ, ভিটামিন ই এবং ভিটামিন সি রয়েছে পাকা পেঁপের মধ্যে। এই উপকরণগুলি সার্বিকভাবে চুলের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখে।

ভিটামিন সি- সাইট্রাস ফ্রুট অর্থাৎ ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল চুলের স্বাস্থ্যের জন্য সবসময়েই ভালো। গ্রেপফ্রুট, কমলালেবু, অন্যান্য যাবতীয় লেবুজাতীয় ফল খেতে পারেন আপনি। নতুন চুল গজাতে এই ফলগুলো সাহায্য করে।

কলা- কলার মধ্যে রয়েছে পটাশিয়াম, ন্যাচরাল অয়েল এবং প্রচুর ভিটামিন। নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে এই ফলও। চুলের গঠন মজবুত করতে, গোড়া শক্ত করতে এবং হেয়ার ফলিকলের দেখভাল করতেও কাজে লাগে কলার মধ্যে থাকা বিভিন্ন পুষ্টি উপকরণ।

আরও পড়ুন:  ভূমধ্যসাগরে ২২০০ জনের মৃত্যু: জাতিসংঘ

জামজাতীয় ফল- বেরি বা জামজাতীয় ফল চুলের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। স্ট্রবেরি, ব্লুবেরি, র‍্যাসপবেরি ও অন্যান্য জামজাতীয় ফল রাখুন পাতে। এইসব জামজাতীয় ফলের মধ্যে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হেয়ার ফলিকলের মুখগুলো উন্মুক্ত করে নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে।

অ্যাভোকাডো- অ্যাভোকাডো একাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ একটি ফল যা চুলের বৃদ্ধিতে, গোড়া শক্ত করতে এবং নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। অ্যাভোকাডোতে থাকা হেলদি ফ্যাট এবং ভিটামিন ই মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন প্রক্রিয়া সঠিকভাবে সম্পন্ন করে। তার ফলে গজায় নতুন চুল।

 

…ডিডিজে নিউজ// মোহাম্মদ ফয়সাল আলম

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *