আল্লাহ জীবন দিয়েছেন, নিয়েও নেবেন: প্রধানমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার জীবনের প্রতি হুমকির প্রচেষ্টা সম্পর্কে বারবার সতর্ক করেছেন, তবে তিনি এর কোনো পরোয়া করেন না এবং বিশ্বাস করেন যে আল্লাহই তার জীবন দিয়েছেন এবং তিনিই তা নিয়ে নেবেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন যে জনগণের কল্যাণে যা যা করা দরকার তিনি সবই করবেন।

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর খামারবাড়িতে কেআইবি ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে কৃষক লীগ আয়োজিত স্বেচ্ছায় রক্তদান কর্মসূচি, আলোচনা ও দোয়া মাহফিলে এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি সাম্প্রতিক সহিংসতায় বহু মানুষের প্রাণহানি ও সরকারি সম্পত্তি ধ্বংসের কথাও উল্লেখ করেছেন এবং বলেছেন যে কোটা আন্দোলনের আড়ালে জঙ্গিরা তাদের হিংস্র দিক দেখিয়েছে।

শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি প্রত্যেকটি জিনিসের (হত্যাযজ্ঞের) তদন্ত চাই যে, এর পেছনে কারা রয়েছে এবং কীভাবে এবং কী কী ঘটনা ঘটেছে।’

আরও পড়ুন:  অন্যের ওপর দোষ চাপানো বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের ‘অভ্যাস’: ভারত

প্রতিটি বিষয়ে তদন্তের জন্য জাতিসংঘকে তাদের বিশেষজ্ঞ পাঠানোর আহ্বান জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, ‘যদি কোনো দেশ চায়, তারা বিশেষজ্ঞও পাঠাতে পারে। আমি বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত চাই। যারা এর জন্য দায়ী তাদের বিরুদ্ধে শাস্তির ব্যবস্থা নিতে হবে।’

প্রধানমন্ত্রী বলেন, আন্দোলন ধ্বংসস্তুপে রূপ নেওয়ার আগে পুলিশসহ আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী তাদের সঙ্গে সহনশীল আচরণ করেছে। তারা মিছিল করে যেখানে যেতে চেয়েছে, তাদের সেখানে যেতে দিয়েছে। তিনি নিজেও আইনশৃংখলা বাহিনীকে তাদের নিরাপত্তা প্রদানের জন্য বলেছেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি শিক্ষক ও অভিাবকদের বলেছিলাম যে, আপনাদের সন্তানদের জীবনের ঝুঁকি রয়েছে, আপনারা সন্তানদেরকে বের হতে দিয়েন না। কারণ আমি তো জানি এ দেশে জঙ্গিবাদী বা সন্ত্রাসি গোষ্ঠী কতদূর কী করতে পারে। আমি তাদেরকে সতর্ক করেছি যে, আপিল বিভাগের রায়ে শিক্ষার্থীদের হতাশ হতে হবে না। তাদের যেটা দাবি সেটা এসে যাবে। কারণ আদালত ও আইন মেনেই সকলকে চলতে হয়।’

আরও পড়ুন:  আটক সাধারণ ছাত্রদের মুক্ত করে দেওয়ার নির্দেশ প্রধানমন্ত্রীর

সরকারপ্রধান বলেন, তারপরেও আজকে বাংলাদেশে এতগুলো প্রাণ যে ঝড়ে গেল, এর দায় দায়িত্ব কার? একটা জিনিষ গেলে আবার গড়ে তোলা যায়, কিন্তু জীবন গেলে তো আর ফিরে পাওয়া যায় না।

অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য অ্যাডভোকেট ইউসুফ হোসেন হুমায়ুন, কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুর নাহার লাইলী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *