আমিরাতে ৫৭ বাংলাদেশি কারাদণ্ডে হিউম্যান রাইটস ওয়াচের নিন্দা

সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের সমর্থনে বিক্ষোভের জেরে ৫৭ জন বাংলাদেশিকে কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে, যা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা হিউম্যান রাইটস ওয়াচ (এইচআরডব্লিউ) নিন্দা জানিয়েছে।

এএফপি সূত্রে খবর পাওয়া গেছে যে, বুধবার (২৪ জুলাই) এক বিবৃতিতে এই রায়কে ‘বিচারের নামে প্রহসন’ বলে উল্লেখ করেছে এইচআরডব্লিউ’র আমিরাত বিষয়ক গবেষক জোয়ে শিয়া।

জোয়ে শিয়া বলেন, “এই রায় অপমানজনক এবং বিচার প্রক্রিয়া ছিল অস্বাভাবিক রকমের দ্রুত। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের পর মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তদন্ত করে রায় দেওয়া হয়েছে এবং অভিযুক্তদের আত্মপক্ষ সমর্থনের সুযোগ দেওয়া হয়নি। এইচআরডব্লিউ এই বিচার প্রক্রিয়ার ন্যায্যতা ও সঠিকতা নিয়ে উদ্বিগ্ন।” এই ধরনের ঘটনার ক্ষেত্রে বিচার প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি, বিশেষ করে যখন বিষয়টি মানবাধিকারের সঙ্গে সম্পর্কিত।

আরও পড়ুন:  সিলেটের ৪ স্থলবন্দর ও শুল্ক স্টেশন দিয়ে আমদানি বন্ধ
বাংলাদেশের কোটা আন্দোলনের সমর্থনে রবিবার (২১ জুলাই) রাজধানী আবুধাবিসহ আমিরাতের ৭ প্রদেশের (এমিরেত) বিভিন্ন শহরে সড়কে বিক্ষোভ কর্মসূচির ডাক দেন দেশটিতে বসবাসরত বাংলাদেশিরা। সেই কর্মসূচির সংগঠিত করার অভিযোগে বিভিন্ন শহর থেকে মোট ৫৭ জন বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
গ্রেপ্তারের পর তাদের হাজির করা হয় আবুধাবির একটি আদালতে। সোমবার আদালত রায় প্রদান করেন। সেই রায়ে গ্রেপ্তার ৫৭ জনের মধ্যে ৩ জনকে যাবজ্জীবন, একজনকে ১১ বছর ও বাকি ৫৩ জনকে ১০ বছর করে কারাবাসের সাজা দেন আদালত।
মধ্যপ্রাচ্যের উপসাগরীয় অঞ্চলের তেলসমৃদ্ধ এই দেশটির আইনে সড়কে বিক্ষোভ মিছিল শুধু নিষিদ্ধই নয়, বরং এটি একটি শাস্তিযোগ্য অপরাধ। এছাড়া সড়কে প্রকাশ্যে বা লিখিতভাবে আমিরাত বা যে কোনো দেশের সরকারের উদ্দেশে অপমানজনক বক্তব্যও শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসেবে পরিগণিত হয় দেশটির আইনে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *