বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ছয় সমন্বয়কের কাছ থেকে জোর করে বিবৃতি নেওয়া হয়নি, এ বিষয়ে গুজব ছড়ানো হচ্ছে বলে দাবি করেছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (গোয়েন্দা) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
ডিবি কার্যালয়ে কখনো জোর করে বিবৃতি নেওয়া হয়নি বলেও দাবি করেছেন তিনি। আজ সোমবার বিকেলে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ের ফটকে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব দাবি করেন ডিএমপির এ কর্মকর্তা।
তিনি বলেন, ‘আমরাও তো ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছি, ছাত্র ছিলাম। এই ছয় সমন্বয়ককে নিরাপত্তার স্বার্থে ডিবিতে এনেছি। তারা আমাদের সঙ্গে আছে। এই সমন্বয়কারীদের ঘিরে অনেক গুজব চলছে। আমরা তাদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। তাদের পরিবার ও সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতার কারণে আমরা নিয়ে আসছি। এরই মধ্যে আজ ডিবি হেফাজতে থাকা ছয় সমন্বয়কের পরিবারের সদস্যরা কথা বলেছেন, ওরা ভালো আছে। ওদের পরিবারের সদস্যরা কাল রাতেও এসেছিলেন, আজও এসেছেন।’
ডিএমপির এ অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, ‘এরই মধ্যে তারা একটা বিবৃতিও দিয়েছে যে, কোটা সংস্কার আন্দোলনের সঙ্গে তারা আর নেই। গতকাল রাত থেকে আমরা গুজব ছড়াতে দেখছি তারা স্বেচ্ছায় বিবৃতি দেয়নি। আমরা মনে করি, ডিবি কার্যালয় হচ্ছে মানুষের আস্থার জায়গা। এখানে মানুষকে হেনস্তা করা বা কারও প্রতি অন্যায় আচরণ করা, সেটা কখনোই ডিবি করে না, ভবিষ্যতেও করবে না। মানুষ যখন বিপদে পড়ে আমাদের কাছে আসে বা নিরাপত্তাহীনতায় এখানে আসে বা আমরা নিয়ে আসি, আমরা তাদের নিরাপত্তার ব্যবস্থা করি।’
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘আপনারা জানেন, এই কোটাবিরোধী আন্দোলনটা করেছিল কোমলমতি শিক্ষার্থীরা। তাদের ভেতরে ঢুকে একটি গোষ্ঠী, জামায়াত-বিএনপি চক্র ধ্বংসাত্মক কাজ করেছে। পুলিশ সদস্যকে ঝুলিয়ে হত্যা, মানুষ হত্যা করেছে। রাষ্ট্রীয় স্থাপনায় আগুন লাগিয়েছে। আমরা মনে করি, যদি আবার চক্রান্তকারীরা ঘোলা পানিতে মাছ ধরার চেষ্টা করে, তাহলে এই সমন্বয়কদের নিরাপত্তাহীনতা তৈরি হতে পারে। সেজন্য তাদের নিরাপত্তার বিষয়টি আমাদের দেখা দরকার।’