আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও ১৪ দলের সমন্বয়ক-মুখপাত্র আমির হোসেন আমু বলেছেন, কোটা আন্দোলন ঘিরে সৃষ্ট পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকারের নানা সিদ্ধান্তকে ১৪ দল সমর্থন করে। ১৪ দলীয় জোট সরকারের পাশে থেকে সব ধরনের সহায়তা করতে প্রস্তুত।

শনিবার ১৪ দলের নেতাদের নিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে কোটা আন্দোলনকেন্দ্রিক সহিংসতায় আহতদের দেখতে এবং ক্ষতিগ্রস্ত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) ভবন পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন। আমু বলেন, সহিংসতায় আহতদের চিকিৎসার ক্ষেত্রে কে কোন দল করে, তা বিবেচনায় আনা হবে না। তেমনি দোষীদের বিচারের ক্ষেত্রেও দলমত দেখা হবে না।

এদিন সকালে আমুর নেতৃত্বে প্রথমে ঢাকা মেডিকেলে যান ১৪ দলের নেতারা। এ সময় সেখানে চিকিৎসাধীন আহতদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন এবং তাদের চিকিৎসাসংক্রান্ত বিষয়ে খোঁজখবর নেন তারা। এর পর বিটিভি ভবনে গিয়ে হামলা ও ভাঙচুরে ক্ষতিগ্রস্ত স্থাপনা ঘুরে ঘুরে দেখেন। এ সময় বিটিভির কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং তাদের সহানুভূতিও জানান নেতারা।

আরও পড়ুন:  আ’লীগের বিরুদ্ধে ক্ষোভ ন্যায্য হলেও আইনের লঙ্ঘন অন্যায্য

ঢাকা মেডিকেলে সাংবাদিকদের আমির হোসেন আমু বলেন, আহতরা যেন প্রয়োজনীয় চিকিৎসা পান, সে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। নিহতদের তালিকা প্রকাশ করা হলে তাদের পরিবারের পাশেও দাঁড়াবে সরকার।

বিটিভি ভবন পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ১৪ দলের সমন্বয়ক বলেন, কোটা আন্দোলনে ভর করে বিএনপি-জামায়াত বেছে বেছে আমাদের সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের ওপর আক্রমণ করেছে। অনেক ঐতিহ্য ও সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা বিটিভি ভবনে হামলা তারই একটি আক্রমণ।

এ সময় ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, অতীতে দেখা গেছে, অবৈধভাবে ক্ষমতা দখলের পর দখলকারীরা প্রথমেই বিটিভি দখল করেছে। এবার ক্ষমতা ও বিটিভি দখলের চেষ্টা সফল না হলেও এ ভবনে হামলার মধ্য দিয়ে দেশের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ধ্বংসের চেষ্টা করা হয়েছে। দ্রুত সব হামলা ও হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের চিহ্নিত করে বিচারের আহ্বান জানান তিনি।

আরও পড়ুন:  বাংলাকে জাতিসংঘের দাপ্তরিক ভাষা হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করা আমাদের লক্ষ্য : ড. হাছান

জাসদের সভাপতি হাসানুল হক ইনু বলেন, বিটিভি ভবনে হামলা চালিয়ে বঙ্গবন্ধু ও মুক্তিযুদ্ধের তথ্যচিত্রের আর্কাইভগুলোও ধ্বংস করা হয়েছে। সুপরিকল্পিতভাবে দেশের ইতিহাস ধ্বংসের লক্ষ্যেই এটা করা হয়েছে।

এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভান্ডারী, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মোহাম্মদ আলী ফারুকী, গণআজাদী লীগের সভাপতি এস কে সিকদার, গণতন্ত্রী পার্টির একাংশের সভাপতি ডা. শাহাদাৎ হোসেন, কমিউনিস্ট কেন্দ্রের যুগ্ম আহ্বায়ক ডা. অসীত বরণ রায়, ন্যাপের সাধারণ সম্পাদক মো. ফারুক, আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া বীরবিক্রম, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট মৃণাল কান্তি দাস প্রমুখ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *